শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে যেমন নিষ্প্রভ ছিলেন লিটন দাস, সংবাদ সম্মেলনে তেমনি চিন্তিত স্বর শোনা গেল কোচ ফিল সিমন্সের কণ্ঠে। টানা অফফর্মে থাকা লিটন ব্যাট হাতে যেমন ব্যর্থ, মানসিকভাবে তেমনি বিপর্যস্ত। অধিনায়ক হয়ে যখন নিজেই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন, তখন দলের বাকিদের কাছ থেকে কি আদৌ দৃঢ়তা আশা করা যায়?
প্রথম টি-টোয়েন্টির ইনিংসের সূচনা করেছিলেন লিটন। শুরুতেই ১১ বলে ৬ রানের ধীরগতির ইনিংস দলকে রানের চাপে ফেলে। তার বিদায়ের পর ধসে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপ। ২৮ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪ রান তুলতে পারে দল, নামতে থাকে রানরেটও। কোচ সিমন্স স্পষ্ট করেই বলেন, “লিটনের আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমে গেছে। তবে আমরা জানি, সে কী করতে পারে।”
এই ‘কি করতে পারে’ চিন্তায় আটকে থাকলে কি চলবে? বর্তমান বাস্তবতায় লিটনের ব্যাট যেন নিজের সঙ্গে বিশ্বাসও হারিয়েছে। আর সেই বিশ্বাসহীন নেতৃত্ব পুরো দলকেই করে তুলেছে দিশেহারা।
অন্যদিকে, নিয়মিত উইকেটকিপার জাকের আলীর না থাকাও প্রশ্ন তৈরি করেছে। কোচ বলেন, ‘জাকের চোটে পড়েছিল ওয়ানডে সিরিজের আগেই। তাই বিকল্প খেলোয়াড় খেলাতে হয়েছে।’
তবে বিকল্প খুঁজতে গিয়ে ব্যাটিং পজিশনে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। কেউ ওপেন করছে, কেউ ছয়ে নামছে-এমন অস্থিরতা দলের সামগ্রিক ভারসাম্য নষ্ট করেছে।
তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচেই হেরে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ দলের জন্য আজ দ্বিতীয় ম্যাচটি এখন বাঁচা-মরার লড়াই। কিন্তু প্রশ্ন একটাই-আত্মবিশ্বাসহীন অধিনায়কের নেতৃত্বে কি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব?
Discussion about this post