আরও একটা অর্জন যোগ হলো সাকিব আল হাসানের নামের পাশে। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাফল্যের পথ ধরে এবার পেলেন আরেকটি পুরস্কার। নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খানকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয়বারের মতো ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ হলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক।
এবারই প্রথম নয়। এর আগেও এই স্বীকৃতি উঠেছে সাকিবের হাতে। তিনবার সেরার লড়াইয়ে থেকে দুইবার হয়েছেন মাসসেরা।সবশেষ ২০২১ সালের জুলাইয়ের সেরা হন সাকিব।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আর উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন সাকিব। ৩ ম্যাচে ৪৭ গড়ে করেন ১৪১ রান। উইকেট নিয়েছেন ৬টি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৭৫ রান আর বল হাতে ৩৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৮ রান ও ১ উইকেট নেন। প্রথম ওয়ানডেতে ৮ রান আর বল হাতে ১ উইকেট।
টি-টুয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতেও বড় ভূমিকা ছিল অধিনায়ক সাকিবের। ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচে ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রান। বাকি দুই ম্যাচে অবশ্য ব্যাটিংয়ে অবশ্য ব্যর্থ। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজেও দাপট দেখান সাকিব। প্রথম ওয়ানডেতে খেলেন ৯৩। টি-টুয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৪ বলে অপরাজিত ৩৮ রান। তিন ম্যাচে নেন ৫ উইকেট।
আইসিসির মার্চ মাসের সেরা হয়ে সাকিব বলেন সাকিব, ‘পুরষ্কারটি জিততে পেরে সম্মানিত বোধ করছি আমি। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই স্বীকৃতি আমার কাছে খুবই মূল্যবান, কারণ অনেক চমৎকার সব ক্রিকেটার গত এক মাসে অনেকগুলো বিশেষ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। গত মাসের থেকে যদি সেরা মুহূর্ত বাছাই করতে হয়, তাহলে সেটা হবে দল হিসেবে সব বিভাগে চমৎকার পারফরম্যান্স ধরে রেখে টি-টুয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা। নিজের ভূমিকায় মনোনিবেশ করা এখন আমার জন্য খুব সহজ।”
ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা। ভোটিং একাডেমিতে থাকেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। ই-মেইলে ভোট দেন তারা। নিবন্ধিত সমর্থকরা ভোট দিতে পারেন আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ। আর বাকি ১০ ভাগ সমর্থকদের ভোট।
Discussion about this post