রীতিমতো বিস্ময়কর ঘটনা। কতো টার্গেট সেটা না জানিয়েই ব্যাটিংয়ে নামিয়ে দেওয়া হলো বাংলাদেশ দলকে। মঙ্গলবার অফিশিয়ালদের এমন কাণ্ডে অবাক বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও। এমন কিছু আগে কখনও দেখেননি তিনি।
ভুলটা যে ম্যাচ অফিসিয়ালদের। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ১৭.৫ ওভারের পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হলে আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেনি কিউইরা। ১৭৩ রানের পর স্কোরবোর্ডে আর রান জমা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। বৃষ্টি থামলে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ দল। তখন জানানো হয়- বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে বাংলাদেশ দলের জিততে দরকার ১৪৮ রান। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশ ইনিংসের ৯ বল পর সিদ্ধান্ত বদল করেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। বাংলাদেশকে নতুন টার্গেট দেওয়া হয় ১৬ ওভারে ১৭০।
রান তাড়ায় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য চূড়ান্ত করা নিয়ে বাঁধে বিতর্ক। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের অফিসিয়াল টুইটারে জানানো হয়, ১৬ ওভারে বাংলাদেশের চাই ১৪৮। টিভি ধারাভাষ্যকাররাও একই লক্ষ্যের কথা জানান।
কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংসে ১.৩ ওভার হওয়ার পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। এমনটায় বিস্মিত বাংলাদেশের কোচ। ম্যাচের পর ডমিঙ্গোর সংবাদ সম্মেলনে জানান, নতুন কিছুর স্বাক্ষী হলেন তিনি।
রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘আগে এমন কোনো ম্যাচে ছিলাম আমার মনে হয় না। যেখানে ব্যাটিংয়ে নামার সময় ব্যাটসম্যানরা জানে না লক্ষ্য কত। জানা নেই ডাকওয়ার্থ-লুইসে লক্ষ্য কত। কারও কোনো ধারণা ছিল না, ৫ ওভারে আমাদের কত দরকার বা ৬ ওভারে। কোনো ম্যাচে এরকম দেখিনি। আমার মনে হয় না, লক্ষ্য চূড়ান্ত হওয়ার আগে বা কোন পর্যায়ে আমাদের কত রান দরকার, সেটা নিশ্চিত হওয়ার আগে খেলা শুরু করা ঠিক হয়েছে। আমার মনে হয় না এটি যথেষ্ট ভালো ছিল।’
ডমিঙ্গো আরও জানান, ‘ওরা প্রিন্ট আউটের জন্য অপেক্ষা করছিল। হিসাব-নিকাশ চলছিল। কিন্তু খেলা শুরু করার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছিল না, কারণ সময় চলে যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে ব্যাপারটি হতাশার। যখন অপেক্ষা করছিলই, তাহলে খেলা শুরু করার প্রয়োজন ছিল না। আমাকে তারা বলেছে যে সাধারণ ইনিংসের ২-১ বল হতে হতেই এটা বের করে ফেলতে পারে। কিন্তু এখানে তারা পারেনি, এজন্য দেরি হচ্ছিল। আরও অনেক কিছু হচ্ছিল। অজুহাত দিচ্ছি না, আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক।’
এই হারে সিরিজটাও হারল টাইগাররা। ১ এপ্রিল টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ এড়াতে মাঠে নামবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
Discussion about this post