সেই চিরচেনা মিরপুরের উইকেট যেন পাল্টে গেল! যেখানে এর আগে দেখা গেছে রান তুলতে সংগ্রাম করেছেন ব্যাটাররা সেখানেই সেই শেরেবাংলায় এখন রান উৎসব। তার পথ ধরেই আজ শুক্রবার রীতিমতো রান পাহাড় দেখল বিপিএল। বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় রানেরও দেখা মিলল।
উসমান খানের সেঞ্চুরিতে চিটাগং কিংস গড়ে আসরের সর্বোচ্চ দলীয় রান। সেই রান টপকানো তো হয়নি, বরং উসমানের রানকেও করতে পারল না দুর্বার রাজশাহী। ছুটির দিনে চিটাগং পেল জয়ের দেখা। রাজশাহীকে ১০৫ রানে উড়িয়ে দিল তারা।
রেকর্ড রান (২১৯) তুলে রাজশাহীকে পাত্তা দেয়নি বন্দরনগরীর দলটি। তাদের অলআউট করে মাত্র ১১৪ রানে। ১০৫ রানে পাওয়া জয়টি চলতি বিপিএলে চট্টগ্রামের প্রথম। বিপিএলে ৩ ম্যাচে রাজশাহী হেরে গেল ২ ম্যাচে।
এদিন ব্যাট হাতে ম্যাজিক দেখালেন উসমান খান। এই পাকিস্তানির ব্যাটে ক্যারিয়ার–সেরা ১২৩ রান। ১৩ চার ও ৬ ছক্কার দেখার মতো এক ইনিংস। ২১ বলে ফিফটি তুলেন তিনি।
গ্রাহাম ক্লার্ক-উসমান গড়েন ১২০ রানের জুটি। ক্লার্ক ফেরেন ৪০ রানে। উসমান সেঞ্চুরি তুলেন ৪৮ বলে। এটি এবারের বিপিএলে প্রথম শতক।
পাশাপাশি মোহাম্মদ মিঠুন ১৫ বলে ২৮, হায়দার আলী ৮ বলে ১৯ রান করেন।
এরপর চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম ও আরাফাত সানি। ২টি করে উইকেট তুলেছেন শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং কিংস: ২০ ওভারে ২১৯/৫ (পারভেজ ০, উসমান ১২৩, ক্লার্ক ৪০, মিঠুন ২৮, শামীম ২, হায়দার ১৯*, ওয়াসিম ৪*; তাসকিন ৪-০-২২-২, সোহাগ ৩-০-২৮-১, মুরাদ ৪-০-৪৫-০, মোহর ২-০-২৯-০, শফিউল ৩-০-৪৬-১, বার্ল ৩-০-৩৭-০, সাব্বির ১-০-১১-০)।
দুর্বার রাজশাহী: ১৭.১ ওভারে ১১৪ (হারিস ৩২, সাব্বির ৮, এনামুল ৮, ইয়াসির ১৬, আকবর ১৮, বার্ল ১০, সোহাগ ১১, তাসকিন ১, শফিউল ১, মুরাদ ৫*, মোহর ০*; শরিফুল ৩-০-২৫-২, সানি ৪-১-২৩-৩, আলিস ৪-০-১৭-৩, ওয়াসিম ৩.১-০-২৪-২, খালেদ ৩-০-২৩-০)।
ফল: চিটাগং কিংস রানে ১০৫ জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: উসমান খান।
Discussion about this post