চাকারদের নিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই পড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুরুতে তাদের পুর্নবাসন নিয়ে যতোটা আগ্রহ ছিল তাতে ভাটা পড়েছে এখন। কেননা, বেশ কয়েকজন বোলার নিজেকে শুধরে নিতে দেরি করছেন। তাইতো শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে বিসিবি। জানা গেল, অ্যাকশন শুধরে মাঠে ফেরার পর তার বোলিং নিয়ে যদি আবারো আপত্তি ওঠে তবে দ্বিতীয়বার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার যাবতীয় খরচ তাকেই বহন করতে হবে। বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া পর্যায়ের কোনো বোলারের অ্যাকশন নিয়ে আপত্তি উঠলে তার পুনর্বাসন সংক্রান্ত খরচগুলো বহন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এইতো এই বছর আইসিসি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানি।
একইসঙ্গে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগেও প্রায় দশজন বোলারের অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আম্পায়াররা। বিসিবি তাদেরকে শোধরানোর খরচ বহন করছে। এরপর তাদের অ্যাকশন নিয়ে আপত্তি উঠলে এই খরচটা তাদেরকেই বহন করতে হবে।
বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘প্রথমবার সন্দেহে পড়া বোলারদের শুধরে দেয়ার দায়িত্ব নিচ্ছি আমরা। কিন্তু পরের এক-দুই বছরে তাদের অ্যাকশন নিয়ে যদি আবারো প্রশ্ন ওঠে তখন খরচটা তাদেরই বহন করতে হবে। এমন কিছু বোলারকে নিয়ে আপত্তি উঠেছে যাদের অ্যাকশন নিয়ে অতীতেও প্রশ্ন উঠেছে। সম্ভবত তারা ব্যাপারটা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না।’
Discussion about this post