অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। সমালোচনার তোপের মুখে থাকা এই পরিচালকের পদত্যাগ ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। বুধবার সরে দাঁড়ালেন তিনি। ১১ বছর পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর আলোচিত-সমালোচিত এই ক্রীড়া সংগঠক এবার বিদায় বললেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বিসিবিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন পদত্যাগ করেন শুরুতেই। তারপর বোর্ডের নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে থেকে পদত্যাগ করেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। এবার সরে দাঁড়ালেন সুজন।
সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ অনুমান করেই সরে দাঁড়ালেন তিনি। বিসিবির সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কাঠামোয় তাকে রাখা হবে না-এটা আঁচ করতে পেরেই সরে গেলেন বিদায়ী পাপনের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত এই বোর্ড পরিচালক।
২০১৩ সালে বিসিবির প্রথম নির্বাচনে জিতে পরিচালক হন খালেদ মাহমুদ। তিনি সবশেষ ছিলেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। নানা সময়ে জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ ও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যে পরিবর্তনের ঝড়, তাতেই সরে যেতে বাধ্য হলেন সুজন। জাতীয় এর আগে ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত দুই পরিচালকের একজন জালাল ইউনুস পদত্যাগ করেন। আরেকজন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকে সরিয়ে দেয় ক্রীড়া পরিষদ। ফারুক আহমেদের সঙ্গে নতুন পরিচালক হন নাজমুল আবেদীন। নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।
গত৩০ অগাস্ট পদত্যাগ করেন উইমেন’স উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরি নাদেল।
Discussion about this post