নিউজিল্যান্ডের ৩২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল একেবারে নড়বড়ে। প্রথম ২৫ ওভারের মধ্যে পাকিস্তান ১০৪টি ডট বল খেলে, যা তাদের রানের গতি বাড়াতে পারেনি। শুরুর এই ধীরগতির পর ম্যাচের চিত্র খুব একটা পরিবর্তন হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৪৭.২ ওভারে ২৬০ রানে থেমে যায়, ফলে ৬০ রানে হেরে যায়।
পাকিস্তান তাদের রান তাড়ায় প্রথম থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সৌদ শাকিলকে ওপেনিংয়ে পাঠায়। তবে শাকিল শুরুতেই আউট হয়ে যান। এর পর ম্যাচের শুরুতেই ফিল্ডিংয়ে ব্যথা পাওয়ায় ফখর জামান মাঠে নামতে পারেননি। দুই দফায় ৩০ মিনিট মাঠের বাইরে থাকায়, পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ২০ মিনিটে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পায়নি ফখর।
এই সময়েই শাকিল আউট হয়ে যান, যা পাকিস্তানকে আরও চাপে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে মোহাম্মদ রিজওয়ানও ধীর শুরু করেন এবং দশম ওভারের শেষ বলে গ্লেন ফিলিপসের বাজপাখি হয়ে ওঠা ক্যাচে আউট হন। পাকিস্তানের রান তখন ছিল ২ উইকেটে ২২।
এরপর পিঠের সমস্যা নিয়ে ফখর জামানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২১তম ওভারে তিনি আউট হয়ে ফিরলে পাকিস্তান দাঁড়িয়ে থাকে ৬৯ রানে।
কিন্তু এরপর, বাবর আজম এবং আগা সালমানের ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশা ফিরলেও তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ২৬০ রানে থেমে যায় এবং ৬০ রানে হারায় নিউজিল্যান্ডের কাছে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের উইল ইয়াং এবং টম ল্যাথাম সেঞ্চুরি করে তাদের ৩২০ রানের টার্গেট অর্জনে বড় ভূমিকা রাখেন। এই জয় নিউজিল্যান্ডের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, ২০১৭ সালে ভারত ৩১৯ রান করেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
এভাবে পাকিস্তানের হতাশাজনক শুরু, তাদের পরিকল্পনা ও পারফরম্যান্সের অভাবে নিউজিল্যান্ড ৬০ রানে জয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুভ সূচনা করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩২০/৫ (ইয়াং ১০৭, কনওয়ে ১০, উইলিয়ামসন ১, মিচেল ১০, ল্যাথাম ১১৮*, ফিলিপস ৬১, ব্রেসওয়েল ০*; আফ্রিদি ১০-০-৬৮-০, নাসিম ১০-০-৬৩-২, আবরার ১০-০-৪৭-১, হারিস ১০-০-৮৩-২, খুশদিল ৭-০-৪০-০, সালমান ৩-০-১৫-০)
পাকিস্তান: ৪৭.২ ওভারে ২৬০ (শাকিল ৬, বাবর ৬৪, রিজওয়ান ৩, ফাখার ২৪, সালমান ৪২, তাহির ১, খুশদিল ৬৯, আফ্রিদি ১৪, নাসিম ১৩, রউফ ১৯, আবরার ০*; হেনরি ৭.২-১-২৫-২, ও’রোক ৯-০-৪৭-৩, ব্রেসওয়েল ১০-১-৩৮-১, ফিলিপস ৯-০-৬৩-০, স্যান্টনার ১০-০-৬৬-৩, স্মিথ ২-০-২০-১)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৬০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : টম ল্যাথাম
Discussion about this post