ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
উত্তেজনা ছড়ানো এক ম্যাচ। যেখানে একবার মনে হচ্ছিল জিততে যাচ্ছে পাকিস্তান। আবার জো রুট আর জস বাটলারের শতরানে জয়ের কাছাকাছিই ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু নাটকীয়তা ছড়ানো লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি সরফরাজ আহমেদদেরই। আগের ম্যাচে ১০৫ রানে অলআউটের ব্যর্থতা কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে পাকিস্তান। টানা ১১ হারের পর জয়। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে এবার দ্বিতীয় ম্যাচে এসে মিলল সাফল্য।
এক ম্যাচ জয়ের পরই হোঁচট খেলো ইংল্যান্ড। তবে লড়েছে তারাও। নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজ আগে দুবার বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে রেকর্ড ৪৮১ রান। ২০১৬ সালে এই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট করে ৪৪৪ রান! সোমবারও দুই দল গড়ে তিনশ ছাড়ানো ইনিংস।
তবে এবার পারল না ইংল্যান্ড। তাদের হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ১৪ রানে ম্যাচ জিতেছে সরফরাজের দল।
বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার টস জেতে ইংল্যান্ড। তারা প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তানকে। দলটি ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে করে ৩৪৮ রান। জবাব দিতে নেমে জো রুট ও জস বাটলারের শতরানের পরও চুপসে যায় ইংল্যান্ড। তারা ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করে ৩৩৪ রানে।
চলতি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৫ রানে অলআউটের দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে জিতল পাকিস্তান। সোমবার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। এর আগের সেরা ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেটে ৩৪২।
তবে লড়াইটা কঠিন করে দেন জস বাটলার ও জো রুট। তারা গড়েন ১৩০ রানের জুটি। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে দলকে সাহায্য করেন। ২৪৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১০৪ বলে ১০৭ রান করেন রুট।ক্যারিয়ারের ১৫তম শতরান করেন তিনি। বাটলার তুলেন নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ৭৬ বলে ১০৩ রানে আউট তিনি। তারপরই পথ হারায় ইংল্যান্ড।
তারও আগে বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের হাফসেঞ্চুরিতে লড়াকু পুঁজি গড়ে পাকিস্তান। ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৮২ রান। ফখর ৪০ বলে ৩৬ রান করেন। ইমাম তুলেন ৪৪ রান। বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ এরপরই হাল ধরেন।
এরমধ্যে বাবর আজম করেন ৬৬ বলে ৬৩ রান। মোহাম্মদ হাফিজ ৬২ বলে করেন ৮৩ রান। সরফরাজ আহমেদ ৪৪ বলে ৫৫। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার মঈন আলি ১০ ওভারে ৫০ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট। তবে ম্যাচসেরা মোহাম্মদ হাফিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৪৮/৮ (ইমাম ৪৪, ফখর ৩৬, বাবর ৬৩, হাফিজ ৮৪, সরফরাজ ৫৫, আসিফ ১৪, মালিক ৮, ওয়াহাব ৪, হাসান ১০*, শাদাব ১০*; ওকস ৩/৭১, মঈন ৩/৫০, উড ২/৫৩)
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৩৪/৯ (রয় ৮, বেয়ারস্টো ৩২, রুট ১০৭, মর্গ্যান ৯, স্টোকস ১৩, বাটলার ১০৩, মইন ১৯, ওকস ২১, আর্চার ১, রশিদ ৩*, উড ১০*; শাদাব ২/৬৩, আমির ২/৬৭, ওয়াহাব ৩/৮২, হাফিজ ১/৪৩, মালিক ১/১০)
ফল: পাকিস্তান ১৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ হাফিজ
Discussion about this post