নিরাপত্তা এখন শুধু বাংলাদেশেরই ইস্যু নয়। গোটা বিশ্বই নিরাপত্তার অনিশ্চয়তায় ভুগছে। মার্কিন মুল্লুক থেকে ভারত সব জায়গাতেই এই অনিশ্চয়তা! সেই হিসেব বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এ কারণে অনেক ঘটনার পর ঢাকা আসতে রাজি হয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সফরে মঈন আলিদের ভিভিআইপি মতো নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। হোটেল-রাস্তা আর মাঠ সব জায়গাতেই থাকছে নিছিদ্র নিরাপত্তা। তারই এক ঝলক বৃহস্পতিবার দেখা গেল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।
সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডোরা অনাকাংখিত পরিস্থিতি ঘটলে কিভাবে সামাল দেয়া হবে তারই মহড়ায় অংশ নিলেন। জরুরি কোনো পরিস্থিতিতে আধা ঘণ্টার মধ্যে স্টেডিয়াম চত্বরে উপস্থিত হতে প্রস্তুত থাকবেন এই কমান্ডো সদস্যরা।
বলা দরকার, শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলার হোম অব ক্রিকেটে হবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎই বিকট আওয়াজ হোম অব ক্রিকেটের স্পর্শকাতর সীমানার মধ্যে। তার কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা গেলো খেলোয়াড়রা জিম্মি হয়ে পড়েছেন! তখনই জরুরি ডাকে সাড়া দিতে এগিয়ে আসেন সেনাবাহিনীর কমান্ডো সদস্যরা। এরপর জিম্মি খেলোয়াড়দের উদ্ধারের পালা। কিছুক্ষণ গোলাগুলির শব্দ! জিম্মিকারীদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালান কমান্ডোরা। এক মুহূর্তেই সব তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হন ক্রিকেটাররা! এরপর একাডেমি মাঠে থাকা হেলিকপ্টারে করে খেলোয়াড়দের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দৃশ্য। সব মঞ্চস্থ হল এদিন।
মহড়া শেষে প্যারা-কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এম ইমরুল হাসান মিডিয়াকে জানান, ‘দেশ ও জাতির যেকোনো প্রয়োজনে অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার সেনাবাহিনীকে যেকোনো দায়িত্ব অর্পণ করলে তা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রাখি। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ক্রিকেট সিরিজের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেই ধারাবাহিকতাই অবলম্বন করছে।’
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি হবে ৯ অক্টোবর। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সবগুলো ম্যাচই দিবা-রাত্রির।
Discussion about this post