দেখতে দেখতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর পথ চলা হয়ে গেল মাশরাফি বিন মর্তুজার। ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে যাত্রা হয় তার। তারপর কতো যে বন্ধুর পথ পাড়ি দিলেন। তারপরও অবিচল তিনি। আর তাতেই অনন্য এক কীর্তি গড়া হয়ে গেল।
বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফির আগে আকরাম খান ১৪ বছর ১৮৭ দিন, আমিনুল ইসলাম বুলবুল ১৪ বছর ৪৪ দিন ও মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ১৩ বছর ৬১ দিন খেলেন। তাদের টপকে গেলেন ম্যাশ।
১৯৮৩ সালের এই দিনে, ৫ অক্টোবর চিত্রা নদীর পাড়ের শহর নড়াইলে জন্ম মাশরাফির। সেই শৈশবে প্রিয় খেলা ছিল সাঁতার, ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন। এরপর ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা। এক নানা’র হাত ধরে শুরু ক্রিকেটে হাতেখড়ি। অনূর্ধ্ব-১৯ দল দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে যাত্রা। তারপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
এরমধ্যে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক মাশরাফির। এখন পর্যন্ত ৩৬ টেস্টে ৭৯৭ রান ও ৭৮ উইকেট এবং ১৬৬ ওয়ানডেতে ২১৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
অধিনায়ক হিসেবেও বেশ সফল তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলেছে ১টি টেস্ট। জিতেছে সেই একটিতে। আবার ৩১টি ওয়ানডে জয় ২২টিতে। ৯ হার ও ৫টি টি-টুয়েন্টিতে ১ জয়। ৪ হার। দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনিই।
একের পর এক ইনজুরিতে পড়লেও মানসিক শক্তি দিয়ে বারবারই ফিরেছেন। ৭ বার অস্ত্রোপচারের পরও খেলে যাচ্ছেন তিনি। তাইতো হয়ে উঠেছেন সত্যিকারের নায়ক। স্ত্রী-দুই সন্তান নিয়ে সংসার মাশরাফির। যেতাদিন সুস্থ আছেন খেলা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় রয়েছে ম্যাশের।
Discussion about this post