বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে ফিক্সিং ও দুর্নীতি দূর করার মিশনে নামলেন অ্যালেক্স মার্শাল। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের সাবেক এই শীর্ষকর্তা ঢাকায় এসেই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন-সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা দিতে হবে সামাজিক মাধ্যমকে ঘিরে।
রাজধানীর একটি হোটেলে ক্রিকেটার ও বিসিবি পরিচালকদের উদ্দেশে দেওয়া প্রেজেন্টেশনে মার্শাল বলেন, ফিক্সিং সিন্ডিকেটগুলো এখন আর মাঠ বা হোটেলের লবিতে সীমাবদ্ধ নেই, বরং সামাজিক মাধ্যমকেই তারা টার্গেট করছে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সহজ যোগাযোগের এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে ফাঁদ। তাই তাঁর পরামর্শ, ক্রিকেটাররা যদি পুরোপুরি সামাজিক মাধ্যম থেকে সরে আসেন, সেটিই হবে সবচেয়ে নিরাপদ সমাধান। এমনকি বোর্ড পরিচালকদেরও সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট না রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু এখানেই দ্বন্দ্ব। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের বর্তমান প্রধান সামাজিক মাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয়। তার কিছু কর্মকাণ্ড এর আগেও সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। ফলে বোর্ডের ভেতরে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে জনবল পুনর্গঠন নিয়ে। একজন পরিচালক সরাসরি জানিয়েছেন, খুব দ্রুত মার্শাল ও বিসিবির এইচআর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বসে নীতি পরিবর্তন আনা হবে।
বিপিএল নিয়েও সতর্ক করেছেন মার্শাল। তার মতে, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো সবসময় দুর্নীতিবাজদের প্রধান লক্ষ্য। যথেষ্ট পেশাদারিত্বের সঙ্গে টুর্নামেন্ট না হলে দুর্বল জায়গাগুলো কাজে লাগানো হয়। তাই বিপিএলকে শক্ত নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালনা করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
অ্যালেক্স মার্শাল এর আগে দীর্ঘ সাত বছর ধরে আইসিসির দুর্নীতি দমন, নিরাপত্তা ও অ্যান্টি-ডোপিং ইউনিট পরিচালনা করেছেন। গত বছর অবসর নিলেও এবার নতুন দায়িত্ব নিয়ে ফিরেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ছেলে হোক বা মেয়ে, সবাইকে সুরক্ষিত রাখা এখন সবচেয়ে জরুরি। দুর্নীতিবাজরা সবসময় সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে, আমাদের কাজ হবে তাদের পথ বন্ধ করা।’
Discussion about this post