সিরিজের প্রথম টেস্টে বুধবার মুখোমুখি বাংলাদেশ এবং সফরকারী নিউজিল্যান্ড। সকাল সাড়ে নয়টায় চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথমদিনের খেলা।
এমনিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট রেকর্ড তেমন উন্নত নয়। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম টেস্ট বাদ দিলে নিউজিল্যান্ড বাকি সময় বেশ সহজেই জিতেছে। টেস্টে এখন পর্যন্ত উভয় দল মুখোমুখি হয়েছে নয় ম্যাচে। বৃষ্টিতে একটি ম্যাচ ভেসে গেছে। বাকি আট ম্যাচেই নিউজিল্যান্ড জয়ী। এর মধ্যে আবার পাঁচটিতে ইনিংসে হার বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একটি ম্যাচের প্রথম দু’দিন বৃষ্টিতে খেলা হয়নি; কিন্তু পরের তিনদিনেই যে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায়!
কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বললেন-‘র্যাঙ্কিংয়ে আমরা এখন বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছি। তবে শক্তি এবং তারতম্য বিবেচনায় দুই দলের মধ্যে তেমন বড় কোনো পার্থক্য নেই। পাশাপাশি নিজ মাটিতে খেলার একটা বাড়তি সুবিধা তো পাচ্ছেই বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশের চিন্তায় এখন ৪-০-এর সেই সুখস্মৃতি। ২০১০ সালের অক্টোবরের সেই ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের অনেক কিছুকে এলোমেলো করে দেয় বাংলাদেশ। সেই থেকে যখনই যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলে এই ৪-০-এর ধবল ধোলাই থেকেই নতুন প্রেরণা খুঁজে নেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলছিলেন-‘এটা ঠিক যে, সেই ফল নিয়ে আমরা বেশ মোটিভেটেড। তবে সত্যি বলতে কি, টেস্ট ক্রিকেট ভিন্ন ঘরনার খেলা এবং আমরা নিজেরাও জানি, আমরা দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলছি। মাঝের সময়টাতে অবশ্য আমরা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছি। তবে এ সিরিজে ওদের (নিউজিল্যান্ড) সঙ্গে নয়, আসলে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জটা নিজেদের সঙ্গে।’
প্রথম টেস্টে জিততে চায় দু’দলই। কিন্তু বৃষ্টি চোখ রাঙাচ্ছে। কে জানে তিনদিনের ম্যাচের মতো না আবার এখানেও বৃষ্টিরই জয় হয়!
Discussion about this post