বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি নিয়ে এখন সরব ক্রীড়াঙ্গন। নাজমুল হাসান পাপন বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু তার সময়ে চলা অনিয়ম আর দুর্নীতির তদন্ত এখনো শুরু হয়নি। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে তাইতো তদন্তের দাবি উঠল।
আজ শনিবার সাবেক কয়েকজন পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিসিবি সভাপতি। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় বোর্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা। এমন পরিচালকদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে এ সভা হয়। যেখানে বিসিবিপ্রধানের সঙ্গে তখন ছিলেন বিসিবির পরিচালক নাজমূল আবেদীন ফাহিম ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
বিসিবির সাবেক সহসভাপতি শাহ নুরুল কবির শাহীনের নেতৃত্বে বৈঠকে আরও ছিলেন সাবেক পরিচালক কাজী মহিউদ্দিন বুলবুল, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান, শফিকুল ইসলাম, শহিদুজ্জামান শহীদ, কাইয়ুম চৌধুরী, মো. জাহিদ হোসেন, আসাদুজ্জামান ও ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল মজিদ।
সভা শেষে শাহ নুরুল কবির শাহীন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট খেলেছি, ক্রিকেট সংগঠক ছিলাম, এখনো আছি। সুতরাং ক্রিকেটের মায়া আমরা ত্যাগ করতে পারব না। বিসিবিপ্রধানকে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়ে গেলাম আমরা।’
সাবেক পরিচালক কাইয়ুম চৌধুরী ক্রিকেট বোর্ডের গত ১৭ বছরের দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন, ‘দেখুন, ক্রিকেট বোর্ডে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে ১৭ বছরে। আমরা নির্বাচিত একটা বোর্ড ছিলাম, আমাদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়। এরপর যারা দায়িত্বে ছিলেন, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আমরা বর্তমান সভাপতির কাছে বলে এসেছি, বোর্ডের দুর্নীতির একটা পত্র প্রকাশের জন্য। কীভাবে এত দুর্নীতি হলো, তার সুষ্ঠু তদন্ত চাই আমরা।’
একই সময় সংগঠক মহিউদ্দিন বুলবুল বলেন, ‘একটা সময় আমাদের ক্রিকেট বোর্ড থেকে চলে যেতে হয়। কিন্তু যেহেতু আমরা সংগঠক, সে জন্যই ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এ বোর্ডকে সমর্থন জানাতে এসেছি। ভবিষ্যতে খেলার উন্নয়নে সমর্থন থাকবে আমাদের।’
Discussion about this post