২০২০ সালের যুব বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তিনি। তার অনেক সতীর্থই পেয়েছেন জাতীয় দলে জায়গা। কিন্তু অধিনায়ক এখনো অভিষেকের অপেক্ষা। হাল ছাড়েননি আকবর আলি। লড়ে যাচ্ছেন।
এই উইকেট কিপার ব্যাটার এবার বিপিএলে আছেন দুর্বার রাজশাহী দলে। এখানে ভাল করেই খুলতে চান জাতীয় দলের দরজা। জানালেন বিপিএলে ক্যাপ্টেন্সির প্রস্তাব পেলে সেটা ভেবে দেখবেন। ৩০ ডিসেম্বর শুরু এবারের বিপিএল।
আজ শুক্রবার আকবর আলি মুখোমুখি হলেন গণমাধ্যমের। সংবাদ সম্মেলনে আকবর যা বললেন তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
রাজশাহী চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেওয়ার দল?
আপনি যখন একটা দলে খেলবেন, সেই দলটা নিয়ে আপনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আশাবাদী হতে হবে। আমরাও আমাদের দল নিয়ে আশাবাদী। আমাদেরও যথেষ্ট ভালো দল আছে। আমরা যদি নিজেদের পটেনশিয়াল অনুযায়ী খেলতে পারি, যেকোনো দিন যেকোনো দলকে হারাতে পারি। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, যেখানে আপনি কাগজে-কলমে দল বানিয়ে ফল বের করতে পারবেন না। মাঠের খেলাই আসলে মূল।
প্রত্যাশামতো বিদেশি পাচ্ছেন কিনা, বড় কেউ আসবে কিনা?
এই জিনিসটা ম্যানেজমেন্ট ভালো উত্তর দিতে পারবে যে টেবিলে কী হচ্ছে। ক্রিকেটাররা মাঠের খেলা নিয়েই বেশি মনোযোগ রাখছি। ওই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ধারণাও কম। আমি নিশ্চিত আমাদের ম্যানেজমেন্ট সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটার দলে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
কত নম্বরে ব্যাট করলে নিজের জন্য সেরা
ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করলে আমি মনে করি, পাঁচ নম্বর জায়গাটা খুব ভালো হবে। চার বা পাঁচ নম্বর। এর নিচে না। তবে দিন শেষে দল আমাকে যেভাবে চিন্তা করবে, সেভাবে খেলতে হবে। ব্যক্তিগত ইচ্ছার কথা নেওয়া হলে চার বা পাঁচ নম্বরে খেলতেই পছন্দ করব।
বিপিএল ক্যাপ্টেন্সি দেওয়া হলে
এটা ভাবতে হবে। ম্যানেজমেন্ট থেকে প্রস্তাব এলে আমি অবশ্যই ভেবে দেখতে পারি। টিম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে সবকিছু চাচ্ছে, এর ওপর এসব নির্ভর করছে।
এজাজ আহমেদের কাছ থেকে কী নেবেন
বিপিএল অবশ্যই ব্যস্ত একটা টুর্নামেন্ট। এখানে অনুশীলন করার খুব কম সময় পাওয়া যায়। যে অল্প সময়টাই পাব, ওটাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। তার যে অভিজ্ঞতা, টেকনিক ছিল… চমৎকার একজন ক্রিকেটার ছিলেন। এগুলো নেওয়ার চেষ্টা করব। তিনি যে পয়ামর্শগুলো দেবেন, নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করব।
বিপিএলে টেকনিক্যাল কাজ করার সময়
এরকমই হয় আসলে। টুর্নামেন্ট এত ব্যস্ত থাকে যে, অনুশীলনের সময় খুব কমই থাকে। একটা বা বড়জোর দুইটা মাঠে সবগুলো দলকে প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই সময় বেশি পাওয়া যায় না। এখানে আসলে অল্প সময়ের মধ্যে টেকনিক বদলানো খুব কঠিন। তবে তারা যে কথাগুলো বলেন, সেগুলো নোট নিয়ে পরে অফ সিজনে সেগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। যদি তাৎক্ষণিক কিছু বদলানোর মতো মনে হয়, তখন পরিবর্তনের চেষ্টা করি। আর যদি মনে হয় যে এখন আমার জন্য বদলানো কঠিন হচ্ছে, তখন আমরা নোট নিয়ে রাখি এবং পরবর্তীতে কাজ করার চেষ্টা করি, হোয়াটসএপে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি।
দলের সম্ভাবনা কতটা দেখেন
শুরুতে যেটা বললাম, টি-টোয়েন্টি আসলে কাগজে-কলমে খেলাটা হয় না। খুব অল্প সময়ের খেলা। পুরোটাই নির্ভর করে যে, কোন দলটা দ্রুত মোমেন্টাম নিতে পারে। আমরা যদি দল হিসেবে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি এবং মোমেন্টাম নিতে পারি, তাহলে অবশ্যই ভালো করা সম্ভব।
ব্যাটিং নিয়ে বিশেষ কাজ
এইচপি ক্যাম্প যেটা ছিল, এখানে আমি সাদা বলে বেশি মনোযোগ দিয়েছি। রাজিন স্যারের সঙ্গে কাজ করা হয়েছিল। সোহেল স্যারের সঙ্গেও প্রায়ই কাজ করা হয়। তো এইচপিতে সাদা বলেই আমার মূল মনোযোগ ছিল।
পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ
সাদা বলে খেলতে গেলে পাওয়ার হিটিং নিয়ে কিছু কাজ করতেই হবে। ব্যাট সুইং বা এসব কিছু জিনিসে পরিবর্তন আনতে হয়। সেটাই করেছিলাম।
জাতীয় দলে কিপার হিসেবে প্রতিযোগিতা
আমার মনে হয় না, প্রতিযোগিতাটা অন্য কারও সঙ্গে। আমার মতে, প্রতিযোগিতাটা নিজের সঙ্গে। আমি যদি ভালো করতে পারি, অবশ্যই আমার সুযোগ আসবে।
Discussion about this post