অবশেষে নারী নির্যাতনের মামলা থেকে জামিন পেলেন রুবেল হোসেন। রোববার জজ কোর্ট থেকে জামিন পেলেন জাতীয় দলের এ তারকা ক্রিকেটার। আর তাতে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা কেটে গেল।
এর আগে শনিবার জেলগেটে তার সঙ্গে দেখা করলেন রুবেলের পরিবারের মানুষ এবং বিসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
সকালে তারা জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে রুবেলের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চান। এরপর কারাবিধি অনুযায়ী তাদের সঙ্গে দেখা হয় রুবেলের।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই আনন্দ মাটি হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত চিত্রনায়িকা নাজনীন আকতার হ্যাপীর করা মামলায় কারাগারে যেতে হল রুবেল হোসেনকে। বৃহস্পতিবার জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটারের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠাল আদালত।
ঘণ্টাখানেক শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আনোয়ার ছাদাত এই আদেশ দেন। হাই কোর্ট থেকে পাওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগেই বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এই পেস বোলার। তখনই জামিনের আবেদন করেন তিনি।
কিন্তু কাজ হল না। শুনানি শেষে বিচারক রুবেলের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মিরপুর থানায় মামলা করেন হ্যাপী।
২১ বছর বয়সী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। মিরপুর থানায় তার অভিযোগ-রুবেল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
এ সময় তিনি যেমনটা বলছিলেন- ফেসবুকের মাধ্যমে রুবেলের সঙ্গে তার পরিচয়। সেটা বছর খানেক আগের কথা। এরপর গত নয় মাস ধরে তাদের ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে।
হ্যাপি বলছিলেন, ”হঠাৎ করে কিছুদিন আগে আমাদের সমস্যা দেখা দেয়। জানতে পারি রুবেল আরেক মেয়ের প্রেমে পড়েছেন। এরপরই ও আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। অথচ বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়েছে রুবেল।”
রুবেলকে জড়িয়ে আলোচনায় আসা তরুনী হ্যাপি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এরইমধ্যে তিনি ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির মিছিলে আছে।
Discussion about this post