বাজে আম্পায়ারিংয়ে আরো একবার কলঙ্কিত হল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট। সোমবার বিকেএসপিতে রেলিগেশন লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল কলাবাগান ক্রীড়া চক্র এবং পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এখানেও সেই একই কান্ড! জগন্য আম্পায়ারিং।
ম্যাচের তখন ২১.১ ওভার। টস জিতে ব্যাট করছিল পারটেক্স। কিন্তু আম্পায়ারের পক্ষপাত মুলক সিদ্ধান্তে স্বস্তি পাচ্ছিল না তারা। এই লড়াইয়ে হারলে প্রিমিয়ার লিগ থেকে বিদায়। এমন একটা ম্যাচে বাজে সিদ্ধান্ত কী মেনে নেওয়া যায়?
তাইতো আর খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবেনি তারা। প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠ ছাড়েন পারটেক্সের ক্রিকেটাররা। আর মাঠে ফিরেন নি।
এরপর বিসিবির ম্যাচ রেফারী মুরশেদুল আলম প্লেইং কন্ডিশনের ২১.৩ এ (২) ধারা অনুযায়ী কলাবাগানকে জয়ী ঘোষণা করে।
এমন সিদ্ধান্তে পারটেক্স নেমে গেল প্রথম বিভাগে। কিন্তু লিস্ট এ’ ম্যাচ বলে প্রচার করা লিগে বাজে আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদটা তারা ঠিকই জানিয়ে গেল। স্মরণ করিয়ে দিল দেশের ক্রিকেটে হাল!
যদিও এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের শুরু থেকেই এমন পক্ষপাত মুলক ঘঠনার শিকার হচ্ছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এনিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে প্রতিবাদও জানিয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। কোনভাবেই আম্পায়ারিংয়ের মান উন্নয়নের কথা ভাবেনি তারা। উল্টো নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটিকে। ক্লাবটির স্বত্বাধিকারি লুৎফর রহমান বাদলসহ তিন কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করার মতো বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবির ডিসিপ্ল্যানারি কমিটি। হয়রানির চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মামলাও দেওয়া হয়েছে। ভাড়া করা ‘গুন্ডা’ দিয়ে মিরপুরে মিছিলও করেছেন অতিউৎসাহীরা।
বিসিবির এমন ‘নোংরা রাজনীতি’ নিয়ে সরব দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো থেকে শুরু করে বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম। কিন্তু তারা আছেন তাদের মতোই!
যদিও স্টেডিয়াম পাড়ায় গুঞ্জন-এমন আম্পায়ারিং নাকি বিসিবির প্রশ্রয়ে হচ্ছে। না হলে আম্পায়াররা কেন শাস্তি পাচ্ছে না।!
শুধু রূপগঞ্জ আর পারটেক্স নয় বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভিক্টোরিয়াও। তারা আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের পক্ষপাতমুলুক সিদান্তে প্রতিবাদ জানিয়ে দশ মিনিট মাঠের বাইরে ছিল। পরে ম্যাচরেফারী রকিবুল হাসানের অনুরোধে মাঠে ফিরে ভিক্টোরিয়া।
বলা হয়ে থাকে এটিই ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের আচরনে আদৌ সেটা দেখা মিলছে না। এ’ লিস্টের ম্যাচে এমন বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে মিডিয়ায় লেখালেখিও হচ্ছে। মান হারাচ্ছে ঘরোয়া লিগ।
তারপরও চোখ বন্ধ করে আছে বিসিবির কর্তাব্যাক্তিরা। সত্যিকার অর্থেই ঘরোয়া ক্রিকেট এখন পেছনে হাটছে। সন্দেহ নেই এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও!
Discussion about this post