ফতুল্লায় কলাবাগান ক্রীড়া চক্র প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সংগ্রহ করে ১৮৯ রান। মনে হচ্ছিল ম্যাচটা তারাই জিতবে। কেননা, এই উইকেটে এবারের লিগে আগে ব্যাট করার দলই পেয়েছে বেশি সুবিধা। কিন্তু কলাবাগানের সেই রান সহজে টপকে গেল আবাহনী। ৪ উইকেটে জিতেছে তারা।
তবে জয় নিয়ে বিতর্ক আছে। আবাহনীর ব্যাটিংয়ের সময় হঠাৎ করেই জ্বালিয়ে দেয়া হয় ফ্লাডলাইট। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তাদের অভিযোগ-সকালে ব্যাটিংয়ের সময় কুয়াশায় বল দেখতে ব্যাটসম্যানদের সমস্যা হলেও তখন ফ্লাডলাইট জ্বালানো হয়নি। ফ্লাডলাইটে খেলা চালানোর বিষয়টি প্লেয়িং কন্ডিশনে নেই।
এ অবস্থায় ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ৭ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে আবাহনী এখন লিগ টেবিলের তৃতীয়স্থানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র: ১৮৯/৯(৫০ ওভারে, জেহান মুবারক ৪০, মুস্তাফিজুর রহমান ৫/৩২)।
আবাহনী: ১৯৩/৪ (৪২ ওভারে, নাসির ৫৩*, চামারা সিলভা ৫৯*, শাহাদাত ২/২৬)।
ফল: আবাহনী ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মুস্তাফিজুর রহমান।
ফের জয়ের নায়ক নাঈম
আরো একটা ম্যাচে মোহামেডানের হয়ে সাফল্য অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। দলটির তৃতীয় জয়ে নায়ক তিনি। ব্যাট হাতে ৪৭ বলে অপরাজিত ৫১ রান এবং বোলিংয়ে ২২ রানে ১ উইকেট। তাতেই দল ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে পায় ৪৯ রানের সহজ জয়।
লিগের ছয় ম্যাচের সবকটিতে হেরে রেলিগেশন লিগে খেলাটা প্রায় নিশ্চিত ওল্ড ডিওএইচএসের। মোহামেডান ছয় ম্যাচে জিতেছে তিনটিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মোহামেডান ২৫০/৮(৫০ ওভারে, মিঠুন আলী ৫৪, নাঈম ৫১*, অতিরিক্ত ২৭, জায়েদ ৩/৫২, নেহাদুজ্জামান ৩/৪১)।
ওল্ড ডিওএইচএস: ২০১/৮ (৫০ ওভারে, শাহনাজ ৫৫, আহসানুল হক ৪৮, আরিফুল ৩/২২)।
ফল: মোহামেডান ৪৯ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: নাঈম ইসলাম।
পারটেক্সকে হারাল ভিক্টোরিয়া
বিকেএসপিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পারটেক্স তুলে ১৮৩ রান। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে সেই সংগ্রহ টপকে যায় ভিক্টোরিয়া। ধীমান ঘোষ করেন অপরাজিত ৮৭ রান।
ছয় ম্যাচে ভিক্টোরিয়া জিতল তিনটিতে। হেরেছে বাকি তিনটিতে। আর পারটেক্স ৬ ম্যাচের চারটিতে হেরে রেলিগেশন লিগের শঙ্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পারটেক্স: ১৮৩/১০ (৪৭.৪ ওভারে, মেহরাব হোসেন জুনিয়র ৬৫, অতিরিক্ত ৩০, আবু হায়দার ৪/২৮)।
ভিক্টোরিয়া: ১৮৬/৩ (৪৫.৪ ওভারে, ধীমান ৮৭*, নাদিফ ৪৩*)।
ফল: ভিক্টোরিয়া ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ধীমান ঘোষ।
Discussion about this post