আকসুর রিপোর্ট কবে পাওয়া যাবে-সবার উন্মুখ অপেক্ষা। কোনো নতুন সূত্রের কারণে দেরি হলে ভিন্ন কথা। না হয় আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই হয়তো বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের হাতে জমা পড়বে আইসিসি দুর্নীতি দমন ইউনিট আকসুর প্রতিবেদন কিংবা অনুভব-পর্যবেক্ষণ অথবা সুপারিশ।
বিসিবি সভাপতি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, আইসিসি সাধারণ সভা চলাকালে আকসু রিপোর্ট হাতে আসতে পারে। আইসিসির সাধারণ সভা শুরু হয়ে গেছে দু’দিন আগেই। ২৫ থেকে ২৯ জুন লন্ডনে বসছে এবারের বার্ষিক সভা। তাতে যোগ দিতে ক’দিন আগেই দেশ ছেড়েছেন বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
বোর্ডের সব শীর্ষ কর্তার দৃষ্টিও এখন আইসিসি বার্ষিক সাধারণ সভার দিকে। মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও সেদিকে তাকিয়ে। তার সোজাসাপ্টা উচ্চারণ, ‘আকসু রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের দলবদল ও প্রিমিয়ার লিগ শুরুর দিন-তারিখ ঠিক করব।’
রিপোর্ট পাওয়া যাবে কবে-এর উত্তরে জালাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বোর্ড সভাপতি তো বলেই গেছেন আইসিসি সাধারণ সভা চলার সময়ই হয়তো তার কাছে রিপোর্ট চলে আসবে। তবে তখন আর নিশ্চয়ই সেটা প্রকাশ হবে না। বোর্ড সভাপতি নিশ্চয়ই লন্ডনে বসে রিপোর্টে কী আছে তা বলে ফেলবেন না। দেশে ফেরার পরই নিশ্চয় তা প্রকাশ করবেন। আর আকসুর ওই প্রতিবেদন, অনুভব, পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ হাতে পাওয়ার পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। সেজন্যও সময় দরকার।’
বোর্ডপ্রধান ফিরবেন কবে? জালালের ধারণা-৩০ জুন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে আরও দুয়েকদিন দেরি হতে পারে। কারণ আইসিসি বার্ষিক সাধারণ সভা ২৯ জুন পর্যন্ত চলবে। শেষ হওয়ার পরদিন তিনি দেশের উদ্দেশে যাত্রা করলেও ফিরতে ফিরতে ১ জুলাই। কাজেই ৩০ জুনের আগে হয়তো নয়। ১ থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে বিপিএল ফিক্সিং নাটক শেষ হয়ে যাবে।
Discussion about this post