মুশফিকুর রহিম আগের দিনই নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরির মঞ্চ প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। দ্বিতীয় দিনে মাত্র এক রানের অপেক্ষা পেরোতেই রাজকীয় ফরম্যাটে নিজের ১৩তম শতকের দেখা পান তিনি, দেশের হয়ে টেস্টে যৌথভাবে সর্বোচ্চ শতকের মালিক এখন মুশফিকই, সমানে সমান মুমিনুল হকের সঙ্গে।
ঐতিহাসিক এই দিনে টাইগারদের সাফল্য থামেনি এখানেই। মুশফিকের বিদায়ের পর আরেক শীর্ষ ব্যাটার লিটন দাসও তুলে নিয়েছেন নিজের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। ফলে চোখে পড়ার মতো জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।
মুশফিক ১০৬ ও লিটন ১২৮ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে দলকে বড় পুঁজি এনে দেন। ব্যাট হাতে রানে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও, করেছেন ৪৭ রান। এদিন বাংলাদেশের ব্যাটিং-অর্ডারে বিশেষ এক পরিসংখ্যানও যোগ হয়েছে-টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেটে তিনটি শতরানের জুটি গড়েছে দল। মুশফিক–মুমিনুল, মুশফিক–লিটন ও লিটন–মিরাজ জুটি শতরানের বাঁধ ভেঙে এগিয়ে নিয়েছে স্কোরবোর্ডকে। তবে শেষ দিকে আর কেউ ইনিংস টানতে পারেননি; শেষ ৫৩ রানে পড়েছে ৫ উইকেট। তাতেই ইনিংস থেমেছে ১৪১.১ ওভারে ৪৭৬ রানে।
আইরিশদের ব্যাটিং শুরুটা ছিল স্থির; প্রথম উইকেটেই আসে ৪১ রানের জুটি। কিন্তু সেখান থেকে বাংলাদেশ বোলারদের শৃঙ্খলিত আক্রমণে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। খালেদের বলে পল স্টারলিংয়ের বিদায়ের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি আবারও ব্যর্থ; ২১ রান করে আউট হন হাসান মুরাদের বলে। স্পিনার মুরাদ নিয়েছেন দুই উইকেট, আর তাইজুল, মিরাজ ও খালেদ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
দিনের শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ৯৮। এখনও তারা পিছিয়ে ৩৭৮ রানে। প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বড় ব্যবধানে জয়ের পথে। তৃতীয় দিনে আইরিশরা পারবেন কি না ঘুরে দাঁড়াতে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।










Discussion about this post