এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর কঠিন সমীকরণে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ দল। গ্রুপ পর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ে ভালো শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে এখন সুপার ফোরে ওঠা অনেকটাই জটিল হয়ে পড়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুধু জিতলেই হবে না, ভালো রান রেট নিয়েও জিততে হবে টাইগারদের। হারলে বিদায়, এমনকি সামান্য ব্যবধানের জয়ও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেবে দলকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাচক ও এবারের এশিয়া কাপের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য মিনহাজুল আবেদীন নান্নু মনে করেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যর্থতার দায় ছিল সর্বত্র, ‘শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচটা যথেষ্ট হতাশাজনক এবং সব বিভাগেই আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এখন বি গ্রুপ থেকে উঠতে হলে আফগানিস্তানের সাথে ভালো রান রেটে জিততে হবে।’
তিনি আরও বলেন, টস জিতে আগে ব্যাটিং না করার সিদ্ধান্ত দলের আত্মবিশ্বাসের অভাবকে প্রকাশ করে, ‘আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থেকেই সিদ্ধান্ত এসেছে। এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে হবে। এখন টিম ম্যানেজমেন্টকে চিন্তা করতে হবে পরবর্তী ম্যাচ কীভাবে খেলা যায়।’
তবে কঠিন অবস্থায় থেকেও নান্নু আশা ছাড়ছেন না, ‘সুপার ফোরের দরজা এখনো খোলা। আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ আছে, আবার শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানও খেলবে। সুতরাং সম্ভাবনা একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর সংবাদ সম্মেলনে জাকের আলী অনিক বাতাসকে দায়ী করেছিলেন, ‘বাতাস একটা ফ্যাক্টর। এই মাঠে দুই পাশে মারা যায় না।’ কিন্তু নান্নু এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি পাল্টা মন্তব্য করেছেন, ‘আমি তো এমন অজুহাত কখনো শুনিনি। শ্রীলঙ্কাও একই কন্ডিশনে খেলেছে, ওরা মানিয়ে নিয়েছে। মাঠে গিয়ে কয়েক ওভার খেললেই বোঝা যায় কেমন শট খেলতে হবে। এটা ব্যাটারের দায়িত্ব।’
তার মতে, আবুধাবির উইকেটে বল স্কিড করে, তাই ব্যাটারদের খুবই স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে হয়। মাঠ তুলনামূলক বড় হওয়ায় শট বাছাইয়েও বাড়তি সতর্ক হতে হয়। এই জায়গাতেই ব্যাটাররা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
Discussion about this post