ডারউইনের মাঠে শুরুটা ছিল রূপকথার মতো। পাকিস্তান শাহীন্সের ২২৮ রানের পাহাড়চূড়া লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম বল থেকেই আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওপেনার সাইফ হাসান ও জিসান আলমের ব্যাটে ছক্কা-চারের বন্যা বইতে থাকে। পাওয়ার প্লেতে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে উঠে ৭৪ রান-দর্শকরা তখন ভাবছিলেন, হয়তো আজ বড় কোনো ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছেন।
কিন্তু গল্পের বাঁক বদলে যায় অষ্টম ওভারে। মাজ সাদাকাতের বল পুল করতে গিয়ে জিসান ৩৩ রানে ক্যাচ দেন। ভাঙে ৮৬ রানের জুটি। সেখান থেকে ম্যাচ ধীরে ধীরে পাকিস্তানের দিকে হেলে পড়ে। সাইফ অবশ্য ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন, কিন্তু ওয়াসিম জুনিয়রের লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কার চেষ্টায় টপ-এজ হয়ে ফেরেন ৫৭ রানে। এর পর আফিফ (৬), সোহান (২২), অঙ্কন (৯), রাব্বি (০)-কেউই দাঁড়াতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভারে অলআউট হয়ে থামে ১৪৮ রানে।
এর আগে আজ টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শাহীন্সের ওপেনার খাওয়াজা নাফে ও ইয়াসির খান ঝড় তুলেছিলেন। পাওয়ার প্লেতে ৬৯ রান, এরপর দুইজনের ফিফটি-নাফে ৩১ বলে ৬১, ইয়াসির ৪০ বলে ৬২। উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও আব্দুল সামাদের ২৩ বলে অপরাজিত ৫৬ এবং ইরফান খান নিয়াজীর ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিওয় ২০ ওভারে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৭/৪।
পাকিস্তানের হয়ে আকরাম (৩/১৯) ও সাদ মাসুদ (৩/৩০) নিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট। সহায়তা করেছেন ওয়াসিম জুনিয়র (২/২৪)।
বাংলাদেশ ‘এ’ দল পরের ম্যাচ শনিবার নেপাল জাতীয় দলের বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান শাহিনস: ২০ ওভারে ২২৭/৪ (নাফে ৬১, ইয়াসির ৬২, সামাদ ৫৬*, ফাইক ১৮*, ইরফান ২৫, মাসুদ ১*; রকিবুল ১/৪৩, হাসান ১/৩৪)।
বাংলাদেশ ‘এ’: ১৬.৫ ওভারে ১৪৮/১০ (জিসান ৩৩, সাইফ ৫৭, সোহান ২২; আকরাম ৩/১৯, সাদ ৩/৩০, ওয়াসিম ২/২৪)
ফল: পাকিস্তান শাহিনস ৭৯ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ইয়াসির খান।
Discussion about this post