সুনীল আলোয় ঝলমল গ্র্যান্ড কেম্যানের আকাশ। জর্জ টাউনের জিমি পাওয়েল ওভালে গ্যালারি ভরা উৎসুক দর্শক। এমন রঙিন বিকেলে যিনি আলো ছড়ালেন, তিনি লাল-সবুজের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন-সাকিব আল হাসান।
ম্যাক্স সিক্সটি টি-টেনের ম্যাচে আজ ব্যাটে-বলে শাসন করলেন সাকিব। শুরুতেই ঝড় তুলে দিয়ে গেলেন, শেষে বল হাতে দিলেন প্রতিপক্ষের শ্বাসরোধ। ফলাফল—মায়ামি ব্লেজ ১৩ রানে হারাল গ্র্যান্ড কেম্যান ফ্যালকন্সকে।
টস হারলেও মনোবলে হার মানেননি সাকিব। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে শুরু থেকেই যেন আগুন ঝরালেন ব্যাট থেকে। মাত্র ১১ বলে করলেন ২৯ রান, তাতেই খেলা ঘুরে যায় মায়ামির পক্ষে। মেরেছেন তিনটি চার, দুটি ছক্কা-সবগুলো ছিল দেখার মতো। যদিও বেশিদূর যেতে পারেননি, পুষ্পাকুমারার বলে লং অফে ক্যাচ তুলে দেন, কিন্তু ততক্ষণে ভিত পোক্ত।
সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ব্যাট চালিয়েছেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো পেরেরা। ২২ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে দল পৌঁছে যায় ১১০ রানে, ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে।
ফ্যালকন্সের জবাব ছিল ছন্দহীন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। জয়াসুরিয়ার জোড়া উইকেটে নড়ে যায় ব্যাটিং লাইনআপ। সাকিবও চুপ ছিলেন না। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফিরিয়ে দেন আলী মোহাম্মদকে, যিনি একমাত্র কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। সাকিবের বোলিং ফিগার ২-০-১৯-১-শুধু পরিসংখ্যান নয়, চাপ তৈরির গল্পও বলে তা।
শেষপর্যন্ত ৯৭ রানেই থেমে যায় ফ্যালকন্স, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিবের মায়ামি। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিলেন সাকিব। আগের ম্যাচে ছিল ২ উইকেট, এবার ব্যাটে গতি, বোলিংয়ে আক্রমণ। মায়ামি হার দিয়ে শুরু করলেও সাকিবের ধারায় ফিরে পেয়েছে ছন্দ।
Discussion about this post