সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তীব্র রোদ আর সমান তালে এগোতে থাকা লঙ্কান ব্যাটারদের বিরুদ্ধে হঠাৎই উদিত হলো এক উজ্জ্বল আলোর রেখা-তাইজুল ইসলামের হাত ধরে। এলবিডব্লিউর আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার, কিন্তু শান্ত ছিলেন দৃঢ়। ডিআরএসের সিদ্ধান্তই যেন তুলে ধরল এক দশকের ধৈর্য আর নিষ্ঠার ফলাফল-তিন লাল আলো আর উদারার বিদায়।
এই উইকেটের মধ্য দিয়েই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে শততম উইকেট শিকার করলেন তাইজুল ইসলাম। ২৫টি ম্যাচে এই অর্জন বলছে, ধারাবাহিকতা আর দক্ষতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তাইজুলের সবচেয়ে কাছাকাছি রয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, যার ঝুলিতে আছে ৮৭ উইকেট, তবে ম্যাচ সংখ্যা ২৯। তৃতীয় স্থানে থাকা তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের উইকেট সংখ্যা মাত্র ৩৩।
এদিন বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয়েছিল ৮ উইকেটে ২২০ রান নিয়ে। খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি শেষদিকের ব্যাটাররা, সব মিলিয়ে স্কোরবোর্ড থেমেছে ২৪৭ রানে। সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে, তবে তাইজুল নিজেও নেমে করেন কার্যকর ৩৩ রান।
জবাবে শ্রীলঙ্কা শুরু করে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৮৮ রান। তবে ২৪তম ওভারে তাইজুলের স্পিনে কাবু হয়ে এলবিডব্লিউ হন লাহিরু উদারা। শান্তর রিভিউই শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশকে এবং ইতিহাসে তুলে রাখে তাইজুলের নাম। এ অবস্থায় কলম্বো টেস্টে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৭১/১। নিশাঙ্কা খেলছেন ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে, সঙ্গী চান্দিমাল করেছেন ৫০ রান।
Discussion about this post