মিরপুরের রৌদ্রোজ্জ্বল সকালেই বাংলাদেশের ইমার্জিং দলের ড্রেসিং রুমে নেমে এসেছিল অন্ধকার। আন্দিলে মোগাকানের আগুনঝরা স্পেলে মাত্র ৫৮ রানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট। কিন্তু ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে দৃঢ়তা ও দায়িত্বশীলতায় আলোর রেখা হয়ে এলেন ইফতেখার হোসেন ও মইন খান।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে চার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা আশিকুর রহমান শিবলি ফেরেন শূন্য রানেই। এরপর দ্রুতই ফিরে যান রিজওয়ান, অধিনায়ক শাহাদাত ও আরিফুল।
সবচেয়ে ভয়ংকর ছিলেন আন্দিলে মোগাকানে, যিনি শুরুতেই তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে রীতিমতো কাঁপন ধরান। তার বোলিং ফিগার তখন ছিল ৪ ওভার, ৩ মেডেন, ১ রান, ৩ উইকেট! মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া স্বাগতিকদের উদ্ধার করেন ইফতেখার ও মইন। চরম ধৈর্য ও টেস্ট ধাঁচের ব্যাটিংয়ে গড়েন ১৭৯ রানের জুটি। প্রায় ৫৭ ওভার ধরে এই জুটি একাই প্রতিরোধ গড়ে তোলে প্রোটিয়া পেস আক্রমণের বিপক্ষে।
২২ বছর বয়সী ওপেনার ইফতেখার খেলেন ২৯১ বলের অনবদ্য ইনিংস, যেখানে ছিল ১০৯ রানের দৃঢ়তা। সেঞ্চুরি করেন জর্জ-ফন হিয়ারডিনকে চার মেরে। অন্যদিকে মইন খান মাত্র ৯ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি, ১৫৯ বলে ১৫টি চারে গড়া তার ৯১ রানের ইনিংস শেষ হয় কট বিহাইন্ড হয়ে।
শেষদিকে ইফতেখারও বিদায় নেন শেপো এনটুলির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। তবে এর আগেই বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় লড়াকু ২৪২। দিনের শেষ পর্যন্ত রকিবুল হাসান ও রিপন মন্ডল আর কোনো বিপদ হতে দেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ইমার্জিং ১ম ইনিংস: ৮৯ ওভারে ২৪২/৭ (শিবলি ০, ইফতেখার ১০৯, রিজওয়ান ৭, শাহাদাত ১, আরিফুল ০, প্রিতম ২, মইন ৯১, রকিবুল ২*, রিপন ০*; ফরেস্টার ১৪-৫-২১-১, মোকোয়েনা ৯-০-৪৬-১, পিল্লে ৬-১-২৪-০, এনটুলি ৩১-৮-৬-৩২, মোগাকানে ১২-৫-২০-৩, ফন হিয়ার্ডিন ১২-২-৩৮-০, মানাক ৫-০-২৪-০)
(প্রথম দিন শেষে)
Discussion about this post