টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব হারিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তবে তার ওপর বিসিবির আস্থা কমেনি এতটুকুও। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে রাখা হয়েছে তাকে। বিসিবির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, শান্তর অভিজ্ঞতা ও ব্যাটিং দক্ষতা বিবেচনায় রেখেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
অনেকে ভেবেছিলেন, অধিনায়কত্ব হারানোর পর শান্ত হয়তো বাদ পড়বেন দল থেকে। কিন্তু বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানালেন ভিন্ন কথা। শান্তর ভূমিকা কেবল নেতৃত্বে নয়, দলের টেকনিক্যাল ভারসাম্য ও চাপ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
ফাহিম বলেন, ‘শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক হলেও, এখনো দলে তার প্রয়োজন আছে। অভিজ্ঞতা শুধু নেতৃত্বে নয়, মাঠেও বড় ভূমিকা রাখে। তরুণদের পাশে কেউ একজন দরকার, যে চাপের সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলে। শান্ত সেটা পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু অভিজ্ঞতা নয়, শান্তর ব্যাটিং স্কিলস আমাদের পরিকল্পনায় আছে। তরুণরা যেমন পারফর্ম করছে, তেমনি এমন কেউ দরকার যার ম্যাচ পড়ার ক্ষমতা আছে। লিটন, সৌম্যর পর একটা অভিজ্ঞ গ্যাপ ছিল, সেখানে শান্তর জায়গা যথার্থ।’
দলে তরুণদের ভিড়ে একজন অভিজ্ঞ, স্থির ও কৌশলী ব্যাটার হিসেবে শান্তর গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে ফাহিম পরিষ্কার করে দিয়েছেন—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ সামনে রেখেই এমন পরিকল্পনা। শুধু নতুনদের ওপর ভরসা নয়, অভিজ্ঞদের মিশ্রণেই সাজানো হচ্ছে দল।
এদিকে, আজই টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে লিটন কুমার দাসের নাম ঘোষণা করেছে বিসিবি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাকে নেতৃত্বে রেখেছে বোর্ড। তার ডেপুটি হিসেবে শেখ মেহেদী হাসানকে রাখা হয়েছে আসন্ন সফরের জন্য।
বাংলাদেশ দল (টি-টোয়েন্টি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফর)
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), শেখ মেহেদী হাসান (সহ-অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সৌম্য সরকার, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীরুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম।
Discussion about this post