সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে একসময় ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা থাকলেও এখন আবার আশার আলো দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ শিবিরে।
প্রথম দিনে ব্যাট হাতে একেবারেই ব্যর্থ হয় শান্তর দল। ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। জবাবে দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান তুলে নেয় সফরকারীরা। তখন মনে হচ্ছিল- ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ক্রমেই চলে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের হাতে।
সোমবার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলাররা পাল্টে দেন দৃশ্যপট। দিনের শুরুতে আঘাত হানেন পেসার নাহিদ রানা। মাঝের সময়টায় উইকেট নেওয়ার ধারা বজায় রাখলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আসে একেবারে শেষ সেশনে, যখন ঘূর্ণি জাদুতে আগুন ঝরান মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ রানের লিড থাকা অবস্থায় জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ে নামে চার উইকেটে। সেখান থেকে একাই চার উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীদের ২৭৩ রানে থামিয়ে দেন মিরাজ। এর ফলে বাংলাদেশ পায় ৮২ রানের ঘাটতি মেটানোর চ্যালেঞ্জ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ছিল অনেক বেশি মনোযোগী ও আত্মবিশ্বাসী। মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক দিন শেষ করেছেন যথাক্রমে ২৮ ও ১৫ রানে অপরাজিত থেকে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৭/১, পিছিয়ে আছে ২৫ রানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘এই টেস্ট ম্যাচটা জেতা উচিত বাংলাদেশের। তবে তার জন্য প্রথমেই লিড ছাপিয়ে যেতে হবে।’ এরপর ব্যাটারদের দায়িত্ব নিয়ে স্কোর গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মিরাজের মতে, এই উইকেটে ৩৫০ থেকে ৪০০ রানের লক্ষ্য দিতে পারলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা সম্ভব হবে।
তবে বাংলাদেশ যে এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে, তা বলাই বাহুল্য। কারণ সিলেটের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর এখনো পর্যন্ত ৩৩৮। তাই তৃতীয় দিনের ব্যাটিংই ঠিক করে দেবে ম্যাচের ভাগ্য।
নিজের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘চেষ্টা ছিল ভালো জায়গায় বল করা, দলকে সাহায্য করা। পাঁচ উইকেট পেতে হলে ভালো জায়গায় বল করার পাশাপাশি কিছুটা ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।’
এছাড়া দেশের মাঠে খেলোয়াড়দের নাম ও কীর্তি স্মরণে রাখার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে নিজের নাম দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের এখানেও এমন কিছু করা উচিত।’
Discussion about this post