বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ এক সুখবর দিয়েছেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটারদের আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘বেশ কিছুদিন আগে পারিশ্রমিক বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবার আমরা কিছুটা বৃদ্ধি করেছি, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে। যারা শুধু টেস্ট খেলে, তাদের জন্য একটা নিরাপদ ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করেছি, যেন তারা শুধুমাত্র অর্থের কারণে অন্য ফরম্যাটে যাওয়ার প্রবণতা না দেখায়।’
বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামোতে টেস্ট ক্রিকেটারদের আয়ের সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম। ফলে অনেক ক্রিকেটার ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টির দিকে বেশি মনোযোগ দেন। বিসিবি এবার সেই সমস্যা দূর করতে টেস্ট ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতীয় দলের ম্যাচ ফি সবশেষ ২০২০ সালে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বর্তমানে ক্রিকেটাররা প্রতিটি ম্যাচে যে পরিমাণ অর্থ পান: টেস্ট: ৬ লাখ টাকা, ওয়ানডে: ৩ লাখ টাকা ও টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ টাকা।
গত বছর বোর্ড ম্যাচ ফি বাড়িয়ে টেস্টে ৮ লাখ, ওয়ানডেতে ৬ লাখ এবং টি-টোয়েন্টিতে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছিল। তবে সেটি অনুমোদন না হওয়ায় পরিবর্তে পারফরম্যান্স বোনাস চালু করা হয়েছিল। এবার সেই প্রস্তাব আবারও আলোচনায় এসেছে এবং ম্যাচ ফি বাড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন চুক্তিতে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকবেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কারভাবে দেননি বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতা সত্ত্বেও প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ও সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট বিসিবি। তাই ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাদের দায়িত্বে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদের দায়িত্বে থাকা নিশ্চিত হয়েছে। তবে সিমন্স ও সালাউদ্দিনের সঙ্গে নতুন চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান কোচ ও সহকারী কোচের চুক্তি মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত আছে। তাদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট। তাদের সঙ্গে আমরা আবার আলোচনা করব। যদি বনিবনা না হয়, তাহলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। তবে আমরা আশা করছি, সন্তোষজনক আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’
Discussion about this post