স্বপ্নের মতো এক ফাইনাল! নিশ্চিত করেই ভারতের জন্য, আর দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দুঃস্বপ্নের!
অথচ হাইনরিখ ক্লসেনের বিধ্বংসী ফিফটিতে ফাইনালে জয়ের পথে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তার বিদায়ের পর সর্বনাশ। দলটির আশা বাঁচিয়ে রাখা ডেভিড মিলারও শেষ ওভারে আউট। হারতে বসা ম্যাচে শেষে এসে দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলো রোহিত শর্মার ভারত।
বারবাডোজে শনিবার রোমাঞ্চকর ফাইনালে ভারত জিতলো ৭ রানে। ১৭৬ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা থামায় ১৬৯ রানে।
তার পথ ধরে ১৭ বছর অপেক্ষার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ডের পর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা দল এখন ভারত।
ফাইনালে ভারতের এক জয়ের নায়কদের একজন বিরাট কোহলি। ৫৯ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তিনি সেরা। ফাইনাল জিতিয়ে টি-টোয়েন্টিকে গুডবাই বলেন কোহলি! ব্যাট হাতে ৪৭ রান করেন অক্ষর প্যাটেল।
পরে বল হাতে আলো ছড়ান আর্শদিপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে ২০ রান দেন আর্শদিপ, বুমরাহ দেন ১৮ রান। তাদের প্রাপ্তি দুটি করে উইকেট। ভারতের সফলতম বোলার অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া। ৩ ওভারে ২০ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন হাইনরিখ ক্লসেন। কুইন্টন ডি কক ৩৯। তবে শেষ হাসি রোহিতের ভারতের!
বিশ্বকাপ জিতেই এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৭ (রোহিত ৯, কোহলি ৭৬, পান্ত ০, সুরিয়াকুমার ৩, অক্ষর ৪৭, দুবে ২৭, পান্ডিয়া ৫*, জাদেজা ২; ইয়ানসেন ৪-০-৪৯-১, মহারাজ ৩-০-২৩-২, রাবাদা ৪-০-৩৬-১, মার্করাম ২-০-১৬-০, নরকিয়া ৪-০-২৬-২, শামসি ২৩-০-২৬-০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৯/৮ (হেনড্রিকস ৪, ডি কক ৩৯, মারক্রাম ৪, স্টাবস ৩১, ক্লসেন ৫২, মিলার ২১, ইয়ানসেন ২, মহারাজ ২*, রাবাদা ৪, নরকিয়া ১*; আর্শদিপ ৪-০-২০-২, বুমরাহ ৪-০-১৮-২, অক্ষর ৪-০-৪৮-১, কুলদিপ ৪-০-৪৫-০, হার্দিক ৩-০-২০-৩, জাদেজা ১-০-১২-০)।
ফল: ভারত ৭ রানে জয়ী।
ফাইনাল সেরা: বিরাট কোহলি
টুর্নামেন্ট সেরা: জাসপ্রিত বুমরাহ
Discussion about this post