ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার শেষদিন একবলও খেলা হয়নি। পূর্ব ধারণা অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ও ইসলামি ব্যাংক ইষ্ট জোনের চারদিনের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। এক মুহূর্তের জন্য বিকেএসপিতে চারপাশে গাছঘেরা এই মাঠে সুর্য উঁকি মারেনি। আলোর স্বল্পতার কারণে আম্পায়াররা বেশ কয়েকবার লাইটমিটার নিয়ে মাঠে নামেন। কিন্তু খেলা শুরু করার মতো যথেস্ট আলো যে মিলল না সারাদিন। শেষদিন কোন খেলাই হল না। খেলা না হওয়ার এই দুঃখ সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পোড়াবে ইসলামি ব্যাংক ইষ্ট জোনের ওপেনার নাজিমুদ্দিনকে। আগের দিন ৯৭ রানে অপরাজিত থেকে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরেছিলেন। কাল সেই ইনজুরি থেকে মুক্তি পেয়ে মাঠে নেমে সেঞ্চুরির আশায় ছিলেন। কিন্তু খেলাই যে আর হল না!
এই ম্যাচে নাজিমুদ্দিন সেঞ্চুরি না পাওয়ার কষ্টে ভুগছেন। আর ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান শুভ পুড়ছেন-ট্রিপল সেঞ্চুরি মিসের দুঃখে। ম্যাচের তৃতীয়দিন সকালে তড়িঘড়ি করে ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে গিয়ে সেটা খোয়ান শামসুর। ফিরে আসেন ২৬৭ রানে। অপরপ্রান্তে দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ায় একপ্রান্ত আগলে রেখে শামসুর দ্রুত ট্রিপল সেঞ্চুরি করার তাগিদে পিটিয়ে খেলেন। মাশরাফির ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারির পর শর্টপিচ বলে পুল শট খেলেন। ব্যাটের ঠিক জায়গায় লাগেনি সেটা। মিডউইকেটে নাফিস যখন ক্যাচটা ধরেন তখন শামসুরের রান ২৬৭। শেষমেষ তার দল ৪৭৫ রানে অলআউট হয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে জবাব দিতে নেমে ইসলামি ব্যাংক ইষ্ট জোন ১ উইকেটে ২৩৪ রান তোলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ১ম ইনিংস : ৩০৩/১০ (তামিম ৩৭, নাজিমউদ্দিন ৫৭, মমিনুল ৩২, লিটন ৭৯, জুবায়ের ৩৩; মাহমুদউল্লাহ ৪/৬৭)। ও ২য় ইনিংস : ২৩৪/১, ৬২ ওভার (নাজিমউদ্দিন ৯৭*, নাফিস ৬৩, তামিম ২৮*, মমিনুল ৪১*, আরাফাত সানি ১/৪১)।
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিস : ৪৭৫/১০, ৯২.৪ ওভার (শামসুর ২৬৭, নুরুল হাসান ৯৪, ইলিয়াস সানি ৩৭; মাশরাফি ৩/৯৮, আলাউদ্দিন বাবু ২/১০৪, এনামুল ২/১১৪)।
ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা : শামসুর রহমান।
- ক্রিকবিডি ২৪ রির্পোট:
Discussion about this post