আক্ষেপ করতেই পারেন তিনি। আরেকটু হলে তো শতরান পেয়ে যেতে পারতেন নাজমুল হোসেন শান্ত! কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে থাকতেই শেষ। শান্তকে বোল্ড করেন থিকসানা। বল আউটসাইফ অফ পিচ করে টার্ন করে বল তার ব্যাট-প্যাড ফাঁকি দিয়ে যায় স্টাম্পে। ৮৯ রানে থামেন তিনি। ১২২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে শান্ত দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি মিস করার হতাশা থাকলেও তিনিই একা লড়লেন।
শ্রীলঙ্কার পালেকেল্লেতে বৃহস্পতিবার ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ইনিংসের ৪৪ বল বাকি থাকতে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর ৮৯ ছাড়া আর কেউ ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত জানান সাকিব আল হাসান। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পারেননি হতাশ করলেন। ওয়ানডে সংস্করণে ১৭৪ রানের কম করে কখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। তাই এই ম্যাচ জিততে নতুন রেকর্ড করতে হবে সাকিব-মুশফিকদের।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ১২২ বলে ৭টি চার মারেন বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান তুলেন তাওহিদ হৃদয়। এছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন শুধু মোহাম্মদ নাঈম শেখ (১৬) ও মুশফিকুর রহিম (১৩)।
৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করেন মাথিশা পাথিরানা। ৩২ রানে নেন ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪২.৪ ওভারে ১৬৪/১০ (নাঈম ১৬, তানজিদ ০, শান্ত ৮৯, সাকিব ৫, হৃদয় ২০, মুশফিক ১৩, মিরাজ ৫, মেহেদি ৬, তাসকিন ০, শরিফুল ২*, মুস্তাফিজ ০; রাজিথা ৭-০-২৯-০, থিকশানা ৮-১-১৯-২, ধানাঞ্জয়া ১০-০-৩৫-১, পাথিরানা ৭.৪-০-৩২-৪, ওয়েলালাগে ৭-০-৩০-১, শানাকা ৩-০-১৬-১)
Discussion about this post