জাতীয় দলের নির্বাচকদের কাজ আরও বেশি কঠিন হয়ে গেল! কারণ দলে পারফরমারের সংখ্যা বেড়েছে। আবার ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভাল খেলছেন অনেকে। এবার যেমন আলোচনা হচ্ছে নাঈম শেখ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে থাকলেও কেন নেই এনামুল হক বিজয়?
সব মিলিয়ে দল গড়তে গিয়ে চাপেই পড়ছেন নির্বাচকরা। অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলছিলেন, ‘পারফর্মার বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো ক্রিকেট ভালো পথেই এগোচ্ছে। আমাদের জন্য মধুর বিড়ম্বনা, কাকে রেখে কাকে নেব! বিষয়টা অনেকটা তেমনই। কিন্তু এই বিড়ম্বনাতেও স্বস্তি আছে যে, আমাদের সব ক্রাইটেরিয়া মিলে যাওয়ার পরই আমরা একজন খেলোয়াড়কে নিতে পারছি। অনেক অপশন যেটা আমাদের কাজটাকে কঠিন পাশাপাশি সহজ করে দিয়েছে।’
গণমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে হাবিবুল বাশার আরও যোগ করেন, ‘দেখুন, দল নির্বাচনে নির্বাচকদের ভাবনায় যেসব খেলা করে তা হলো, এখন পারফর্মার বেশি। খুব কাছাকাছি তাদের রান। বোলারদের উইকেট। এখন যেটা হয় প্রত্যেককে নিয়ে আলাদা আলাদা করে চিন্তা করতে হয়। ম্যাচ সিনারিও দেখতে হয়। কোথায় কিভাবে কেমন বোলিংয়ে রান করেছে। আবার বোলারদের জন্য কেমন উইকেটে উইকেট পেল। কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে ভালো বোলিং করলো, এসব অনেক কিছু বিবেচনা করা হয়। সবকিছুর পাশে টিক মার্ক পেলেই খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে ডাক দেওয়া হয়।’
একইভাবে আারেক নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেখুন, একই পজিশনে অনেক খেলোয়াড় থাকলেও আমরা সেরা খেলোয়াড়কে নেই। কিন্তু ম্যাচের আগে হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনায় কাউকে মিস করলে আগে দুশ্চিন্তা করতে হতো। এখন সেটা কমে গেছে। কারণ হাতে অপশন আছে। ব্যাকআপ ক্রিকেটারও প্রস্তুত। তাই কাজটা স্বস্তির হয়ে যায়।’
এর সঙ্গে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু যোগ করেন, ‘আমরা কাউকেই পরীক্ষায় ফেলতে চাই না। আমরা যাকে নিচ্ছি তার ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখছি। সুযোগ দিয়েই তাকে ছেঁটে ফেলতে রাজি নই। নিজেকে মেলে ধরার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে ভাবনা তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হয় শুরুতে।’
টেস্ট শেষে বিরতি পাচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগান দল। আফগানিস্তান দল গেলো আবুধাবিতে। ১ জুলাই ফের বাংলাদেশে আসবে তারা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজ শুরু ৫ জুলাই। এই মাঠেই পরের দুই ম্যাচ ৮ ও ১১ জুলাই।
Discussion about this post