তিনি মিস্টার ডিপেন্ডেবল! দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে। দেখতে দেখতে সময়ও গেল অনেক। এই যেমন ৯ মে, মঙ্গলবার ৩৬তম জন্মদিন ছিল মুশফিকুর রহিমের। ঠিক এই দিনেই আয়ারল্যান্ডের সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বিপক্ষে লড়লেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন মুশফিক। নিজের ৩৬তম জন্মদিনে তুলেন ফিফটি। চেমসফোর্ডে নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৪ ও তৌহিদ হৃদয়-মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২৭ রান।
মুশফিকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০০৫ সালে। ইংল্যান্ডের সেই সফরে ১৭ বছর বয়সে প্রস্তুতি ম্যাচে সাসেক্সের বিপক্ষে ৬৩ রানের ইনিংস, তারপর নটিংহ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন। মাত্র ১৬ বছরে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট অভিষেক। ঠিক পরের বছর ৬ আগস্ট হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক।
তারপর এগিয়ে গেছেন দাপটে। মুশফিক ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল অব্দি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ৩৭টি ওয়ানডে, ৩৪টি টেস্ট এবং ২৩টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক। ৮৫টি টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। দেশের ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান আর এখন পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি করে রান ৫৪৯৮।
২৪৫ ওয়ানডে খেলে ৭০৪৫ রান তুলেছেন মুশফিক। ৯টি সেঞ্চুরি। টি-টুয়েন্টি ১০২ ম্যাচ খেলে ১৫০০ রান তার।
সেই মুশফিকুর রহিমের ৩৬তম জন্মদিন আজ মঙ্গলবার। নিজের জন্মদিনে ক্যারিয়ারের ৪৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৬/৯ (তামিম ১৪, লিটন ০, শান্ত ৪৪, সাকিব ২০, হৃদয় ২৭, মুশফিক ৬১, মিরাজ ২৭, তাইজুল ৩৬, শরিফুল ১৬, হাসান ৪, ইবাদত ১; লিটল ১০-০-৬১-৩, অ্যাডায়ার ১০-১-৪৪-২, হিউম ১০-০-৩২-২, ম্যাকব্রাইন ৫-০-২১-০, ক্যাম্পার ৮-০-৫০-১, ডকরেল ৭-০-৩২-১)
Discussion about this post