জয়ের ছন্দে উড়ছিল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের দল জয়ের সঙ্গে গড়ছিল একের পর এক রেকর্ড! কিন্তু উড়তে থাকা সেই দলটাকেই মাটিতে নামিয়ে আনল আয়ারল্যান্ড। ছুটির দিনের শুক্রবার হার দেখল টাইগাররা।
সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে বড় ব্যবধানে জিতেছে আয়ারল্যান্ড। ৩৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল তারা। টি-টুয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ জিতল ২-১ ব্যবধানে।
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে হতাশ করে। সাকিবের দল মাত্র ১২৪ রান করে। জবাব দিতে নেমে পল স্টার্লিংয়ের ঝড়ো ফিফটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পা রাখে সফরকারীরা। ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন স্টার্লিং। ক্যাম্পার ১৬ ও টেক্টর ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন-শরিফুল-রিশাদ।
বাংলাদেশ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আগের দুই ম্যাচে দুইশ ছোঁয়া সংগ্রহ গড়েছিল। এবকার বড় শট খেলে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে কিছুই করা হয়নি। ব্যাটে ব্যর্থ দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ফিফটিতে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ বলে ৫১ রান করে শামীম পাটোয়ারী যা একটু লড়াই করলেন। অন্যরা লড়তে পারলেন না।
অবশ্য সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল সাকিবের দল। টানা ষষ্ঠ জয় ও দ্বিতীয় সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি ছিল। সেটা হলো না।
এবার টেস্ট মিশন। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি হবে একমাত্র টেস্টে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এটি আগামী মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১২৪/১০ (লিটন ৫, রনি ১৪, শান্ত ৪, সাকিব ৬, হৃদয় ১২, শামীম ৫১, রিশাদ ৮, তাসকিন ০, নাসুম ১৩, শরিফুল ৫, হাসান ২*; হ্যান্ড ২.২-০-১৫-১, মার্ক অ্যাডায়ার ৪-০-২৫-৩, টেক্টর ৪-০-২৮-১, ক্যাম্পার ৪-০-২৩-১, হোয়াইট ২-০-১৫-১, হামফ্রেজ ২-০-১০-২, ডেল্যানি ১-০-৭-১)।
আয়ারল্যান্ড: ১৪ ওভারে ১২৬/৩ (স্টার্লিং ৭৭, রস অ্যাডায়ার ৭, টাকার ৪, টেক্টর ১৪, ক্যাম্পার ১৬; তাসকিন ৪-০-২৮-১, সাকিব ২-০-১৫-০, হাসান ২-০-২৬-০, শরিফুল ২-০-২৫-১, নাসুম ১-০-১২-০, রিশাদ ৩-০-১৯-১)।
ফল: আয়ারল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: পল স্টার্লিং
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
সিরিজসেরা: তাসকিন আহমেদ।
Discussion about this post