বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। আট পেরিয়ে নবম আসর সামনে। কিন্তু সেই একই দৃশ্যপট। অনেকটাই অগোছালোভাবে এবারও শুরু হচ্ছে এই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ। এনিয়ে এবার খোদ জাতীয় দলের টি-টুয়েন্টি আর টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মুখ খুললেন।
নানা অব্যবস্থাপনায় সেই জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে বিপিএল। খেলা মাঠে গড়াবে শুক্রবার অথচ এখনো কতো কাজ বাকি। একদিন আগেও জার্সি পায়নি দুই ক্লাব। এনিয়ে সমালোচনা করলেন সাকিব। একদিনের জন্য গালফ ওয়েল বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হয়ে নিজের নতুন অফিসে বসে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সেই আলোচনায় ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সেখানে বিপিএলের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেছেন। জনপ্রিয়তায় কেন আগের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে বিপিএল? ডিআরএস কেন নেই এই টুর্নামেন্টে? এনিয়ে সাকিব বলেন, ‘বাজেট সংকট সম্ভবত। সদিচ্ছা থাকলে থেমে থাকার কোনো কিছু দেখি না। সদিচ্ছা থাকলে আমি তো কোনো কারণ দেখি না ডিআরএস থাকবে না, তিন মাস আগে ড্রাফট কিংবা অকশন কেনো হবে না। টিমগুলো দুই মাস আগে থেকে কেনো ঠিক হবে না।’
সাকিব আরও যোগ করলেন, ‘খেলোয়াড়রা এভেইলেবল থাকবে। এখন এক খেলোয়াড় একদিন আসবে, দুই দিন চলে যাবে। কে কখন আসবে-যাবে কেউ জানে না। জার্সি পায়নি এখনো খেলোয়াড়রা, আমি নিউজে দেখলাম। একটা যা তা অবস্থা। এর থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সম্ভবত ভালো, কারণ আগে থেকে টিম গোছাতে পারে। আগে থেকে জানতে পারে কী হচ্ছে। কাজও করতে পারে। পরের প্রিমিয়ার লিগে কার কোন দল ঠিক হয়ে গেছে। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর বিপিএল আসলে শুরু হয়। ৬ তারিখ প্রথম ম্যাচ হবে। তারপর থেকে বিপিএল তার আগে বিপিএল না।’
কেন বিপিএল জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে এনিয়ে সাকিব আরও বলছিলেন, ‘দেখুন, বাজেট ক্রিয়েট করতে পারেনি। ভ্যালু অ্যাড করতে পারেনি। এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বল না পেলে কিছু একটা দিয়ে বল বানিয়ে ক্রিকেট খেলছে। এমন তো না জনপ্রিয়তা নেই। সবার পছন্দের খেলার বাজার থাকবে না বিশ্বাস করি না। দুঃখজনক। মার্কেটিং জায়গা থেকে এটা ব্যর্থতা।’
সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিপিএলের সিইও হলে কী করবেন। তখন হাসিমুখে তিনি বলেন, ‘বিপিএলের সিইও হলে আমার বেশিদিন লাগবে না। আমার ধারণা এক থেকে দুই মাস লাগবে সবকিছু ঠিক করতে। পুরো সবকিছু বাদ দিয়ে নতুন করে আবার ড্রাফট হবে, ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে। আধুনিক টেকনোলজি থাকবে। ব্রডকাস্ট ভালো থাকবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে। আমাকে যদি সিইও দায়িত্ব দেওয়া হয় বিপিএলের, আমার বেশিদিন লাগবে না। আমার ধারণা ১ থেকে ২ মাস লাগবে সবকিছু ঠিক করতে- ম্যাক্সিমাম। খুব বেশি হলে দুই মাসও লাগার কথা না। দুই মাস তো অনেক দূরের কথা বলেছি।’
এক পর্যায়ে সাকিব মজা করে ভারতীয় একটি সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘নায়ক মুভিতে দেখেছেন না ১ দিনে অনেক কিছু করা সম্ভব যে করতে পারে। যে পারে সে সবসময়ই করতে পারে।’
Discussion about this post