ক্যারিয়ারে সত্যিকার অর্থেই কঠিন চাপে পড়ে গেলেন তিনি। যদিও বলা হচ্ছে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাকে। কিন্তু অনেকেরই অভিমত-বাদ দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। এমন কী টি-টুয়েন্টির নেতৃত্বও নাকি পুরোপুরি হারাচ্ছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে নুরুল হাসানকে অধিনায়ক করে সেই ইঙ্গিতই নাকি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
যদিও সোমবার ভিন্ন ইঙ্গিত থাকল। জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষেই আবার তাকে দলে ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। চাপমুক্ত মাহমুদউল্লাহকেই চাইছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘রিয়াদ এখনও টিমের একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের ভূমিকা পালন করতে পারে, এটা এখনও আমরা বিশ্বাস করি। সে আবার অধিনায়ক হবে কি না এটা গুরুত্বপূর্ণ না। এতদিন সে নেতৃত্ব দিয়েছে টি-টুয়েন্টি দলকে, হয়তো বা টি-টুয়েন্টি দল ওভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। আমি চাই রিয়াদ ওই চাপ থেকে বের হয়ে এসে খেলুক। ওর পারফরম্যান্স আমাদের জন্য অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ভবিষ্যতেও হতে পারে।’
মাহমুদউল্লাহ নেতৃত্ব হারালেও বোর্ড ছেটে ফেলছে না তাকে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরই টি-টুয়েন্টি দলে ফেরার সম্ভাবনাও আছে তার।
খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘সিনিয়ররা যেহেতু নেই, সোহান লিড করছে। সিনিয়ররা ফিরলে সেটা নাও হতে পারে। সোহানকে এই সিরিজটার জন্য অধিনায়ক করা হয়েছে। এটা না যে সোহান এখন থেকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। পরবর্তীতে আমরা অন্য কাউকে দেখতেই পারি এখানে। আমি যেটা বলছিলাম আমরা ওভাবে চিন্তা করিনি। এখন সিনিয়র ক্রিকেটাররা নেই, সোহানের মাঠের পারফরম্যান্সও খুব ভালো অধিনায়ক হিসেবে। সোহানকে এজন্য অনেকের আগেই চিন্তা করেছিলাম। লিটনের কথাও হয়েছে, আরও দুই একজনের কথা হয়েছে। কিন্তু সোহানের যে যোগ্যতা, টিমকে একসাথে রাখার, ক্যাপ্টেনের যে গুণ আমরা ওর মধ্যে দেখেছি সেটা মনে হয়েছে, সে নেতৃত্ব দিতে পারে।’
রান না পাওয়ায় মাহমুদউল্লাহ চাপে ছিলেন। সুজন বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে ক্যাপ্টেনরা যখন পারফর্ম করবে না, তার জন্য একটা চাপ হয়ে যায়, টিমের জন্যও। তবে অনেক সময় অধিনায়ক ব্যর্থ হবে, খারাপ করবে এটা খেলার অংশ।’
Discussion about this post