টেস্টে ভরাডুবি এরপর টি-টুয়েন্টিতেও হতাশ করেছিল বাংলাদেশ দল। শঙ্কা জাগছিল ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে। কিন্তু টাইগাররা যে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দারুণ দক্ষ। তামিম ইকবালের দল মাঠের ক্রিকেটে আরও একবার দেখিয়ে দিল যোগ্যতার পরিধি। ম্যাচটাতে জয়ের নায়ক সরাসরি কে বলা কঠিন। তবে আলাদা করে দু’জনের নাম নিতেই হবে!
নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ এই দুই স্পিনারই গড়ে দিয়েছেন জয়ের ভিত। তাদের বোলিংয়েই উড়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর নেমে ছোট লক্ষ্যটা আরও ছোট করে দেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তার পথ ধরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। বলের হিসেবে এটি রেকর্ড গড়া জয় টাইগারদের!
বুধবার গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। উইন্ডিজের দেওয়া ১০৮ রান টপকাতে কোন বেগ পায়নি দল। ১৭৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে তামিমের দল। তার পথ ধরে ৩ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ২-০ এ। আগামী শনিবার গায়ানাতেই স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে নামবে বাংলাদেশ দল।
গর্বের ব্যাপার হলো-ওয়ানডেতে এবার নিয়ে পঞ্চমবার ৯ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। চলতি বছর দ্বিতীয়বার। এবার ধরা দিল সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়! বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নাসুমের তোপেই উড়ে গেল স্বাগতিকরা। ১৯ রানে নেন তিন উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে তার হাতে। মিরাজ ৪ উইকেট নেন ২৯ রানে। মোসাদ্দেক হোসেন ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
এরপর তামিম তুলে নেন ফিফটি। ক্যারিয়ারে ৫৩তম ফিফটি করেন তামিম। ৬২ বলে খেলা তার ৫০। নাজমুল হোসেন শান্ত ২০ ও লিটন দাস অপরাজিত ৩২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৫ ওভারে ১০৮ (হোপ ১৮, মেয়ার্স ১৭, ব্রুকস ৫, কিং ১১, পুরান ০, পাওয়েল ১৩, আকিল ২, পল ২৫*, শেফার্ড ৪, জোসেফ ০, মোটি ৬; মোসাদ্দেক ১০-০-৩৭-১, মুস্তাফিজ ৪-০-১২-০, মিরাজ ৮-১-২৯-৪, নাসুম ১০-৪-১৯-৩, শরিফুল ৩-০-৯-১)
বাংলাদেশ: ২০.৪ ওভারে ১১২/১ (তামিম ৫০*, শান্ত ২০, লিটন ৩২*; জোসেফ ৩-০-৭-০, আকিল ৬-০-৩৫-০, মোটি ৭.৪-১-৩৯-১, পুরান ২-০-১৪-০, পল ২-০-১৬-০)
ফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ২-০তে এগিয়ে
ম্যাচসেরা: নাসুম আহমেদ
Discussion about this post