টেস্ট ক্রিকেটে সময়টা কিছুতেই ভাল যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। টানা হার তো আছেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বও দলকে জেতাতে পারেনি। হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। যেখানে প্রথম টেস্টে দুই হাফসেঞ্চুরি পেলেও দ্বিতীয়টিতে ফ্লপ সাকিব। তার পথ ধরে আইসিসি টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে অবনমনই হয়েছে তার। বুধবার ঘোষিত তালিকায় বাংলাদেশ অধিনায়কে টপকে দুই নম্বরে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে দুই ইনিংসে ফিফটি করেন সাকিব। এরপর টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে উঠে আসেন তিনি। এরপর সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে করেন মাত্র ৮ ও ১৬ রান। বল হাতে ৪৬ রান দিয়ে নিতে পারেন নি কোন উইকেট। এ কারণেই অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে দুই থেকে তিনে নেমে গেছেন সাকিব। তার জায়গায় উঠে এসেছেন অশ্বিন। শীর্ষে রবীন্দ্র জাদেজা।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বাংলাদেশ হারলেও সফল সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন তিনি। আর র্যাঙ্কিংয়ে টেস্ট বোলারদের তালিকায় এগিয়েছেন এই পেসার। ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান সোহানের।
উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেন খালেদ। দ্বিতীয় টেস্টে ১০৬ রান দিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন। এই সংস্করণে বাংলাদেশের ষষ্ঠ পেসার হিসেবে পেলেন এই সাফল্য। তার পথ ধরে আইসিসির বুধবার প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদে ৯ ধাপ এগিয়েছেন খালেদ। তিনি এখন ৮৮তম স্থানে। তিন উইকেট নিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ এক ধাপ এগিয়ে ৩০তম স্থানে। উইকেট না পেয়ে সাকিব ২৯ নম্বরে। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের বাংলাদেশের সেরা জায়গায় (২৭তম) তাইজুল ইসলাম।
সিরিজের শেষ টেস্টে দুই ইনিংসে ২৬ ও ৪২ রান করেন নাজমুল হাসান শান্ত। ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ১১ ধাপ এগিয়ে তিনি ৮৮তম স্থানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ বলে ৬০ রান করে নুরুল হাসান সোহান এগিয়েছেন ১৪ ধাপ। রয়েছেন ৮৪ নম্বরে।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সেরা লিটন দাস। আছেন ত্রয়োদশ স্থানে। ছুটিতে থাকা মুশফিকুর রহিম এক ধাপ নেমে ১৮ নম্বরে।
টেস্টের নাম্বার ওয়ান ব্যাটসম্যানই জো রুটই। ড্যারিল মিচেল চার ধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ১২ নম্বরে। জনি বেয়ারস্টো টেস্ট ব্যাটসম্যান তালিকায় ২০ ধাপ উন্নতি হয়ে ২১তম স্থানে।
Discussion about this post