বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি সর্বকালের সেরা। ব্যাটে-বলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সাকিব। আবার অধিনায়ক হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মাঝে একটা বিরতি শেষে আজ ফের শুরু হলো অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অধ্যায়!
তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার নেতৃত্বে ফেরার টেস্টে টস ভাগ্য সঙ্গে থাকল না সাকিবের। অ্যান্টিগায় স্বাগতিকরা শুরুতেই ব্যাট করতে দিলো বাংলাদেশকে।
এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা ইনজুরিতে পড়ায় প্রথমবার অধিনায়ক হন সাকিব। এরপর সাকিবের নেতৃত্বে দুই ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ।
তারপর ২০১১ সালে অধিনায়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাকিবকে। ৭ বছর পর ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আরও একবার নেতৃত্ব পান তিনি। কিন্তু জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তথ্য না জানানোয় ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ হন সাকিব। তখন অধিনায়ক করা হয় মুমিনুল হককে।
উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ১৬ জুন (বৃহস্পতিবার) অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার দল নামল ব্যাটটিংয়ে। অবশ্য টেস্টে ভাল অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। ২০০০ সালে অভিষেক। তারপর ১৩২টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। জয়মাত্র ১৬টিতে। হার ৯৮টিতে। ১৮টি টেস্ট ড্র করেছে দল।
আর সাকিব টেস্টের নেতৃত্বে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পান একটিতে। তারপর ২০১৮ সালে মুশফিকুর রহিমের স্থলাভিষিক্ত হন সাকিব। ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে চলে যান মাঠের বাইরে। তার আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন আরও ৫ টেস্টে। সেখানে জয় দুই ম্যাচে। সব মিলিয়ে আগের দুই মেয়াদে ১৪ টেস্টে ১১ হার ও ৩ জয় সাকিবের।
Discussion about this post