টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ফের কী ফিরবেন তামিম ইকবাল?
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৬ মাসের স্বেচ্ছা বিরতিতে আছেন জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার! এই বিরতি শেষে তিনি টি-টুয়েন্টিতে ফিরবেন কী না তা নিয়ে চলছে আলোচনা। তামিম অবশ্য দিনকয়েক আগে বলেন, ‘আমাকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অন্য কেউ বলে দিচ্ছে।’
এবার তামিমের সেই কথার জবাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এটা একদমই মিথ্যা। আমি তাকে আমার বাসায় ডেকেছিলাম এবং অন্তত চারবার তাকে, অনুরোধ করেছিলাম।’ এরপরই তামিম-পাপনের কথায় উত্তাল দেশের ক্রিকেট।
বিসিবি সভাপতির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তামিম মঙ্গলবার ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে এক পোস্ট করেছেন।
সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো-
‘আমার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কথার সূত্র ধরে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বা মিডিয়ায় কিছু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। দুই দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আমার ঘোষণা আমি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না, অন্যরাই নানা কিছু বলে দিচ্ছে। এখানে বোর্ড কমিউনিকেট করেনি বা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি, এরকম কোনো কথা আমি একবারও বলিনি।
বোর্ড থেকে কয়েকবারই আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে টি-টোয়েন্টি নিয়ে। আমি ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে। এরপরও বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে কয়েক দফায়। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আমি কখনোই তুলিনি।
আমি সেদিন অনুষ্ঠানে যা বলেছি, আজকে আবার বলছি, “টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে প্ল্যান, সেটা তো আমাকে বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা (মিডিয়া) বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়। তো এভাবেই চলতে থাকুক। আমাকে তো বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। এতদিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, এটা ডিজার্ভ করি যে আমি কী চিন্তা করি না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা। কিন্তু হয় আপনারা কোনো ধারণা দিয়ে দেন, নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলেই দেয়, তখন আমার তো কিছু বলার নেই।”
এটুকুই বলেছিলাম। এখানে কি উল্লেখ আছে যে কেউ যোগাযোগ করেনি? এরকম কোনো শব্দ বা ইঙ্গিত আছে? খুবই সাধারণ ভাষায় বলেছি, আমার কথা আমাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি, এর মধ্যেও মিডিয়া নানা কথা লিখে বা বলে যাচ্ছে, অন্যরাও কথা বলেই যাচ্ছেন।
বোর্ডের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নিয়মিতই আছে এবং তারা খুব ভালোভাবেই জানে, টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার ভাবনা কোনটি। আমি স্রেফ নিজে সেই কথাটুকু বলতে চাই, সেই সময়টুকু চাই।
সময় হলে আমার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই আমি জানাব। ৬ মাস হতে তো এখনও দেড় মাসের বেশি বাকি। কিন্তু সেই সময়টার অপেক্ষা কেউ করছে না। এটাই দুঃখজনক।’
Discussion about this post