ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এক ম্যাচ পরই যেন আকাশ থেকে মাটিতে নামল বাংলাদেশ দল। সিরিজের প্রথম ওয়ানডের সাফল্য দেখা মিলল না দ্বিতীয়টিতে। ব্যাটসম্যানরা করলেন হতাশ। এরপর মাঝারি মানের পুঁজি নিয়ে লড়তে পারলেন না বোলাররা। হেসে-খেলে জয় তুলে সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
রোববার জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রোটিয়ারা জিতল ৭ উইকেটে। আগের ম্যাচে তিনশ ছাড়ানো পুঁজি গড়লেও এবার দল তুলল ৯ উইকেটে ১৯৪ রান। তারপর ওপেনার কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো অর্ধশতকে সঙ্গে কাইল ভেরেইনার ফিফটিতে ৭ উইকেট ও ৭৬ বল হাতে রাখে বিশাল জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
আসলে ব্যাট হাতেই দলকে হতাশ করেন ব্যাটসম্যানরা। ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে আফিফ হোসেন পথ দেখান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ১০৭ বলে ৯ চারে খেলেন সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস। ৪৯ বলে ২ ছক্কা ও একটি চারে ৩৮ রান তুলেন মিরাজ। কাগিসো রাবাদা ৩৯ রানে নেন ৫ উইকেট।
আফিফ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করে ফিরলেন ৭২ রানে। তার ব্যাটে ভর করেই সম্মানজনক পুঁজি গড়ে দল। কাগিসো রাবাদার বলে মারতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি। মিড উইকেট অঞ্চলে বল উঠে যায় আকাশে। ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক বাভুমা। ১০৭ বলে ৯ চারে আটকে যান আফিফ। মিরাজ ৪৯ বলে ৩৮ রান তুলে ফিরেন। দুজনে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটে গড়ে আউট হন।
৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর দলের হাল ধরেন আফিফ। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন। মাহমুদউল্লাহ ফিরলেও আফিফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। ৭৯ বলে ৭টি দারুণ চারে অর্ধশতক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বেশ কয়েকটি নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। যেখানে দল পায় প্রথমবারের মতো জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে ধস নামলেও রেকর্ড হয়েছে। সপ্তম উইকেটে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে রেকর্ড জুটি গড়েন আফিফ-মিরাজ। দুজনে সপ্তম উইকেটে করেন ৮৬ রান। এর আগে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে মোহাম্মদ আশরাফুল-মাশরাফি মুর্তজা করেন ৫৪ রান ।
এর আগে সেঞ্চুরিয়নে ৩৮ রানে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে যেকোনো ফরম্যাটে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। সেই মাঠে বুধবার সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামবে তামিম ইকবালের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ১৯৪/৯ (তামিম ১, লিটন ১৫, সাকিব ০, মুশফিক ১১, ইয়াসির ২, মাহমুদউল্লাহ ২৫, আফিফ ৭২, মিরাজ ৩৮, তাসকিন ৯*, শরিফুল ২, মুস্তাফিজ ২*; এনগিডি ১০-০-০-০, রাবাদা ১০-০-৩৯-৫, পার্নেল ২.৫-০-৬-১, বাভুমা ৬.১-০-২২-০, শামসি ১০-২-২৬-১, মহারাজ ১০-০-৫৭-০, ফন ডার ডাসেন ১-০-৩-১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৭.২ ওভারে ১৯৫/৩ (মালান ২৬, ডি কক ৬২, ভেরেইনা ৫৮*, বাভুমা ৩৭, ফন ডার ডাসেন ৮*; শরিফুল ৪-০-২৯-০, তাসকিন ৪-০-৪১-০, মিরাজ ১০-০-৫৬-১, মুস্তাফিজ ৩-০-১৩-০, সাকিব ১০-২-৩৩-১, আফিফ ৫-০-১৫-১, মাহমুদউল্লাহ ১.২-০-৮-০)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি শেষে ১-১ সমতা
ম্যাচসেরা: কাগিসো রাবাদা।
Discussion about this post