না, হলো না! প্রত্যাশার সঙ্গে দেখা হলো না প্রাপ্তির। ওয়ানডে সিরিজ জেতা হয়েছে। কিন্তু টি-টুয়েন্টিতে মিলল না সমীকরণ। শেষ ম্যাচে এসে শনিবার দল দেখল বড় হার। বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান।
তার পথ ধরেই ২০ ওভারের ২ ম্যাচের সিরিজটি ড্র হয়েছে ১-১ -এ। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ। সেটাই থাকল।
দল হারলেও দারুণ এক মাইলফলকে পা রাখলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রশিদ খানকে সুইপ করে চার মেরে ইতিহাস গড়েন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ২০০০ টি-টুয়েন্টি রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সাকিব আল হাসানকে টপকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন আগেই। এবার প্রথম বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে ২০০০ টি-টুয়েন্টি রানের রেকর্ড গড়লেন এবার। বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি ইতিহাসে হাজারের বেশি রান আছে পাঁচ জনের। মাহমুদউল্লাহর পরই সাকিব আল হাসান(১৯০৮)। ১৭০১ রান নিয়ে এরপরই তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিম ১৪৯৫। সৌম্য সরকার ১১৩৬ রান।
এদিকে ম্যাচটি স্মরণীয় ছিল তার ভায়রা ভাই মুশফিকুর রহিমেরও। শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নেমেই করলেন অন্যরকম এক সেঞ্চুরি।
দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচের সেঞ্চুরি করলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। মিরপুরে শনিবার নামলেন মুশফিক তার শততম ম্যাচে।
এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গড়েছেন এই রেকর্ড। মুশফিক ছুঁয়ে ফেললেন তার ভায়রা ভাইকে। সাকিব আল হাসান আছেন এর পেছনে। ৯৫ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
কিন্তু এই ম্যাচে হতাশ করেন ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১১৫ রান নিয়ে কী আর লড়াই করা যায়? যায় না। এই হারে সিরিজও জেতা হলো না! এর আগে আফগানদের অবশ্য ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারায় টাইগাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১১৫/৯ (মুনিম ৪, নাঈম ১৩, লিটন ১৩, সাকিব ৯, মুশফিক ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২১, আফিফ ৭, মেহেদি ০. নাসুম ৫* , শরিফুল ০, মুস্তাফিজ ৬*; ফারুকি ৪-০-১৮-৩, নবি ৪-০-১৪-১, ওমরজাই ৪-০-২২-৩, রশিদ ৪-০-৩০-১, আশরাফ ২-০-১০-০, জানাত ২-০-১৭-০)
আফগানিস্তান: ১৭.৪ ওভারে ১২১/২ (জাজাই ৫৯*, গুরবাজ ৩, গনি ৪৭, রাসুলি ৯*; নাসুম ৩.৪-০-২৯-০, মেহেদি ৪-০-১৯-১, শরিফুল ৩-০-২৫-০, সাকিব ৩-০-৩২-০,মুস্তাফিজ ৩-০-১৩-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-২-১)
ফল: আফগানিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: আজমতুল্লাহ ওমরজাই
সিরিজসেরা: ফজল হক ফারুকি
Discussion about this post