দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ব্যাটে রান না থাকলে একজন ব্যাটারের মুখে হাসি থাকে কী করে! জাতীয় দল থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। সবশেষ জাতীয় লিগে কিছুই করা হচ্ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম ম্যাচেই ফিরলেন ছন্দে। সোমবার তুললেন সেঞ্চুরি।
এদিন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে সোমবার ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন মিঠুন। পরে শতরান তুলে নেন তার ওপেনিংয়ে সঙ্গী মিজানুর রহমান। এই ম্যাচে অবশ্য ওপেন করার কথাই ছিল না মিঠুনের। মধ্যাঞ্চলের নিয়মিত ওপেনার আব্দুল মজিদ করোনা আক্রান্ত হলে ওপেন করতে নামেন মিঠুন।
ম্যাচের প্রথম দিন রোববার মিঠুন ৪৩ রান করেন। দ্বিতীয় দিন সকালে ৬৪ বল খেলে পরের ফিফটি তুলে নেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার ত্রয়োদশ সেঞ্চুরি। মিজানুর রহমান তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বাদশ সেঞ্চুরি।
এদিন বিসিবি নর্থজোনের বিপক্ষে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের দুই ওপেনার মিঠুন ও মিজানুর। প্রথম ইনিংসে ওপেনিংয়ে নেমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুজনে ৩২৭ রানের জুটি গড়েন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে করা ওপেনিংয়ের এই জুটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
প্রথম শ্রেণিতে ওপেনিং জুটির সর্বোচ্চ রান-
৩৫০ – আব্দুল মজিদ, রনি তালুকদার (ঢাকা বিভাগ, অক্টোবর ২০১৮)
৩৪১ – নাজমুল হোসেন, মিজানুর রহমান (রাজশাহী বিভাগ, ডিসেম্বর ২০১৭)
৩২৭- মোহাম্মদ মিঠুন, মিজানুর রহমান ( ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন-বিসিবি নর্থ জোন, ডিসেম্বর ২০২১)
৩১৪ – আব্দুল মজিদ, রনি তালুকদার (ঢাকা বিভাগ, ফেব্রুয়ারী ২০১৫)
৩১২ – তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস (বাংলাদেশ, এপ্রিল ২০১৫)
৩১১- নাজমুল হোসেন শান্ত, মিজানুর রহমান, রাজশাহী ২০১৯)
৩০৪- রনি তালুকদার, আব্দুল মজিদ (ঢাকা বিভাগ, ২০১৭)
Discussion about this post