ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’, ক্রিকেটের বহু পুরোনো কথা। খুব ‘ক্লিশে’ এই কথাও নতুন করে বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার ‘মহান’ ব্রত নিয়ে যেন রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। লিটন কুমার দাস এদিন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বানুকা রাজাপক্ষে ও আসালাঙ্কার দুটি ক্যাচ ফেলেন। যার খেসারতটা ম্যাচ হেরেই দিয়েছে টিম টাইগার্স।
শারজাহ স্টেডিয়ামে রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলেভের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ উইকেটে। এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪ উইকেটে ১৭১ রান। নাঈম ৬২ ও মুশফিক করেন অপরাজিত ৫৭ রান। পরে বল হাতে শুরুটা ভাল করে বাংলাদেশ। কিন্তু একটা পর্যায়ে ক্যাচ মিসের মহড়ার কারণে দলটি ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। এ সুযোগে আসালাঙ্কা-রাজাপক্ষে টাইগার বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন। যে কারণে ৭ বল আগেই হেরে বসে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা।
লঙ্কানদের সামনে রোববার বড় লক্ষ্য দিয়ে শুরুতেই নাসুম আহমেদের হাত ধরে উইকেট পায় বাংলাদেশ। ফিরিয়ে দেন বিপজ্জনক কুসল পেরেরাকে। লেংথ ডেলিভারি অফ স্টাম্প থেকে সেটি সুইপ করার চেষ্টায় লাইন মিস করেন পেরেরা। বল ছোবল দেয় স্টাম্পে। এর কিছুক্ষণ পরেই প্রতিপক্ষ শিবিরে জোড়া আঘাত করেন সাকিব আল হাসান। নবম ওভারের প্রথম বলে দুর্দান্ত এক আর্মারে পাথুম নিসাঙ্কাকে বোল্ড করে ভয়ংকর হয়ে ওঠা জুটি ভেঙে দেন সাকিব। এরই সঙ্গে বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হয়ে যান বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৪০)।
একই ওভারের চতুর্থ বলে আভিশকা ফার্নান্দোকে বোল্ড করে বিশ্বকাপে নিজের উইকেটসংখ্যাকে ৪১-এ উন্নীত করেন সাকিব। চলতি বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট বেড়ে হয়েছে ১১টি। এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড (১৫) নিজের করে নিতে আর মাত্র ৫ উইকেট প্রয়োজন তার। সে রেশ থাকতেই সাইফউদ্দিন ফেরান হাসারাঙ্গাকে। যে কারণে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। কিন্তু পরে ম্যাচের গতিপথ চেঞ্জ হয়ে যায় লিটন দাসের দুটি সহজ ক্যাচের কারণে।
Discussion about this post