বয়স ৩৪ পেরিয়েছে। ইচ্ছে করলেই হয়তো আরও বছর দুয়েক খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন তিনি। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন মঈন আলি। তবে ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন।
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলে থাকা মঈন সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন, আর টেস্টে থাকছেন না তিনি। মঈন বলছিলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট অসাধারণ। একটি ভালো দিন কাটালে অন্য যে কোনো সংস্করণের চেয়ে বেশি ভালো লাগে। টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করেছি। কিন্তু কখনও কখনও লড়াইয়ের তীব্রতা এখানে অনেক বেশি আর আমার মনে হয়, যথেষ্ট করেছি এবং যা করেছি, তা নিয়ে খুশি ও সন্তুষ্ট আমি।’
একইসঙ্গে বয়সের কথাও মনে করিয়ে দিলেন মঈন। জানালেন, টেস্ট ক্রিকেট মিস করবেন তিনি, ‘আমার বয়স এখন ৩৪, যতদিন সম্ভব খেলে যেতে চাই ও নিজের ক্রিকেট স্রেফ উপভোগ করতে চাই। সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে নামা, স্নায়ুর চাপকে সঙ্গী করে বিশ্বের সেরাদের বিপক্ষে লড়াই মিস করব। বোলিংয়ের দিক থেকে, নিজের সেরা বলে যে কাউকে আউট করতে পারব, এই অনুভূতিটাকে মিস করব।’
করোনার সময়ে লম্বা সময় পরিবার থেকে দূরে থাকার কারণেই টেস্ট অবসরের ভাবনা এসেছে মঈনের মাথায়। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ক্লান্ত। এখন খেলছেন আইপিএল। সামনে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই মিশন শেষে টেস্ট খেললে লম্বা সময় পরিবারের বাইরে থাকতে হবে। তাই সরেই গেলেন মঈন।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৬৪ ম্যাচ। করেছেন ২৯১৪ রান। নিয়েছেন ১৯৫ উইকেট। ইতিহাস জানাচ্ছে, ইংল্যান্ডের তৃতীয় সফলতম স্পিনার তিনি। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ টেস্টে শিকার করেন ২৫ উইকেট। ওভাল টেস্টে করেন হ্যাটট্রিক। এটি ছিল ৭৯ বছরের মধ্যে ইংলিশ কোনো স্পিনারের প্রথম টেস্ট হ্যাটট্রিক।
বিদায় বেলায় বাবা-মার অবদানের কথাও বললেন মঈন, ‘আমার বাবা-মা আমার কাছে এক নম্বর। তাদের পাশে না পেলে কোনোভাবেই এটা করতে পারতাম না। আমার প্রতিটি ম্যাচই তাদের জন্য এবং আমি জানি, আমাকে নিয়ে তারা গর্বিত। আমার ভাই-বোনেরা, খারাপ সময়ে তাদেরকে সবার আগে পাশে পেয়েছি। আমার স্ত্রীর ত্যাগ ও ধৈর্যর জন্য কৃতজ্ঞতা।’
Discussion about this post