ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তাই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা। এ জয়ের সুবাদে সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখল জিম্বাবুয়ে।
এরআগ শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাধেভেরের দুরন্ত ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে জিম্বাবুয়ে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগারদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানে।
শুক্রবার জিম্বাবুয়েকে বড় ইনিংসের ভিত গড়ে দেন মাধেভেরে। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে তিনি সাজান ৭৩ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। ৫৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া চারে নেমে ডিয়ন মায়ার্স ২৬ রান করেন। তবে দলের স্কোর বড় করার পেছনে বার্লের শেষ ঝড়টাই ছিল সবচেয়ে কার্যকরী। ১৯তম ওভারে সাইফ উদ্দিনকে চার-ছক্কা উড়িয়ে ১৬ রান আদায় করেন। শেষ ওভারে শরিফুলকেও হাঁকান ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ২টি করে চার ও ছক্কায় ১৯ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বোলিং চোটে পড়া মোস্তাফিজের অভাব অনুভব হচ্ছিল। তাসকিন তার পরিবর্তে ফিরলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৮ রান। কোনও উইকেট পাননি। শরিফুল ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সাইফউদ্দিন ৩৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। সাকিব ৩২ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় ১৭ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। নাঈম ও সৌম্য মুজারাবানির পেসে পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন। মেহেদীকে সঙ্গে নিয়ে সাকিব এগিয়ে গেলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা আক্রমণে আসার পর তালগোল পাকিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ১০ বলের ব্যবধানে নেই সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদীর উইকেট। প্রত্যেকটি উইকেট নেন মাসাকাদজা।
টিকতে পারেননি কাজী নুরুল হাসান সোহানও। ৬৮ রানে নেই ৬ উইকেট। এরপর অভিষিক্ত শামীমের কারিশমা। তার ১৩ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে আশার সঞ্চার হয়। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশকে তিনি একাই জেতাবেন। কিন্তু বাড়তি আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন শামীম। জংউইর বল উড়াতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দেন। তাতে প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংসটি থেমে যায়। এরপর আফিফের ২৪ ও সাইফউদ্দিনের ১৯ রান পরাজয়ের ব্যবধান কমায় মাত্র।
রোববার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।
Discussion about this post