ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য নতুন দুই কোচ নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক ব্যাটসম্যান অ্যাশওয়েল প্রিন্সকে। স্পিন বোলিং পরামর্শক করা হয়েছে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি রঙ্গনা হেরাথকে। কিন্তু এই নিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েও কিছুই জানেন না বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
কিন্তু গত চার বছর ধরে ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন সুজন। চেয়ারম্যান আকরাম খান। এ সময়ে এসে সুজন নিশ্চিত নন- এই পদে তিনি বহাল আছেন কিনা! জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার গণমাধ্যমের সামনে সোমবার অভিযোগ তুললেন- পরিচালনা কমিটি সম্পর্কিত মিটিংয়ে ডাকা হয় না তাকে। চলুন দেখে নেই কী বলেছেন সুজন।
দুই কোচ নিয়োগ প্রসঙ্গে…
আমিতো ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান। আমি আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম এই দুটো লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু আমাকে কেউ শেয়ার করেনি হয়তো আমি বাবলে ছিলাম বলে। বাবলে অবশ্য ফোন ছিল, আমাকে হয়তো জানানো হয়নি। আমি পত্রিকা পড়ে খবর শুনে জানতে পারলাম অ্যাশওয়েল প্রিন্স ও রঙ্গনা হেরাথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হেরাথের কথাটা আমিই বলেছি বিসিবিকে।’
‘যেহেতু ড্যানিয়েল ভেট্টরি সাথে আমাদের সেভাবে কাজ করা হচ্ছে না, সে আমাদেরকে সময় দিতে পারছেনা সেহেতু একজন অভিজ্ঞ কাউকে প্রয়োজন ছিল। সেদিন থেকে হেরাথকে… আসলে কোচ কি? কোচ জিনিসটা কি এখানে অভিজ্ঞতার একটা ব্যাপার তো আছেই কিন্তু যারা ক্রিকেট খেলছে মাত্রই খেলা শেষ করেছে, অভিজ্ঞতা সাথে লেভেল থ্রি কোচিং কোর্স করা আছে হেরাথের।’
‘সে ভালো বিকল্প হতে পারে। আরো এরকম অনেক নামই উঠে এসেছিল। কিন্তু আমি সত্যিকার অর্থেই জানতাম না এদের দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে দেখলাম অ্যাশওয়েলকে এক সিরিজ আর হেরাথকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়োগ দিয়েছে।’
স্থানীয় কোচ প্রসঙ্গে..
লোকাল কোচের ব্যাপারে আমি মনে করি যে বাংলাদেশের এখনো সে মাইন্ডসেটআপ হয়নি যে আমাদের লোকাল কোচদের এখনো ন্যাশনাল টিমের সাথে কোনো পজিশনে নিতে পারব। সো ইট ইজ ফাইন, বাট আমি সেটা বলছি যে আমরা তো নিতে না পারি বাট আমরা তো বোলিং কোচের সহকারী রাখতে পারি। আমি বলছি যে এক্সপোজার তো অন্যভাবে দেওয়া যায়। মানে আমার কথা হলো দিলে তো আমাদেরও একটা ছেলে শিখল। আজকে যদি ওটিস গিবসনের সাথে ওর এক্সপিরেন্সের সাথে যে কোনো একটা ইয়াং ছেলে কোচ হিসেবে যায় এসিস্ট্যান্ট কোচ সে তো তিনটা সিরিজ থাকলে অনেক কিছুই শিখে যাবে ওর থেকে। এবং সে তো আমাদের লোকাল অন্য কোচদের সাথে শেয়ার করতে পারবে। সেখানে আমাদের আন্ডার ১৫, ১৭, ১৯ সবার জন্যই উপকার হবে। আমরা কেন এভাবে চিন্তা করতে পারি না?
ভাইস চেয়ারম্যান কীনা…
সবকিছু যদি আমি করি তাহলে তো প্রবলেম। সব কিছু তো আমার করা সম্ভব না আসলে। আমি আসলে ভাইস চেয়ারম্যান আছি কিনা অপারেশন্সে সেটা আমি সিউর না। কোনো মিটিং এটেন্ড করা হয় না বা কোন সময় ডাকাও হয়না। মাঝে তো দু’বছর ইমেইলই পাইনি। এখন কিছু কিছু পাই। বাট তখনই জানি যে বাংলাদেশ টিমের কি স্কোয়াড যাচ্ছে বা কি। আগে অনেক ইনভল্ব থাকতাম এখন আমি অপারেশন্সের সাথে অতভাবে ইনভল্ব না।
ব্যস্ততা প্রসঙ্গে…
এটা তো আমি বলতে পারব না। আমি বোর্ডের সাথে কাজ করি, চেষ্টা করি কাউকে যদি হেল্প লাগে হেল্প করার। আমার নিজেরও দায়িত্ব আছে সেটা দায়িত্বে সচেতন অনেক। আমার ডেভেলপমেন্টের একটা ক্যাম্প চলছে যুব দলের বিকেএসপিতে সেটা নিয়া ব্যস্ত ছিলাম। কিভাবে করা যায় ফরেন কোচরা আসছে ট্রেনার আসছে তাদের নিয়া কাজ করছি। আবার নতুন একটা কাজ দিয়েছেন পাপন ভাই আমাদের টাইগার্স নিয়ে…
বাংলাদেশ টাইগার্স দল কেন গঠন করতে হচ্ছে?
আমি এখানে কাউকে দোষারোপ করতে তো আসিনি। আমরা তো সবাই বোর্ড। আজকের আকরাম ভাই দুর্জয় ইনাম ভাই তানজিল চৌধুরী সবাই কিন্তু আমরা বিসিবি। আমাদের সবার কিন্তু একই দায়িত্ব। বিসিবি পরিচালক হিসেবে আপনার কাজটা কি ? ক্রিকেটের উন্নয়ন করা বিসিবিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়ন করাই আমাদের কাজ। আমরা যে যে সেক্টরেই থাকি না কেন। আজকে আমি ডেভলপমেন্ট আছি কালকে হয়তো গ্রাউন্ডস কমিটিতে চলে যেতে পারি মাহবুব ভাইয়ের জায়গায়। সুতরাং সবাই সবার দায়িত্বেই থাকে। আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের আকরাম ভাইয়ের সাথে সেভাবে দেখাও হয়না কারণ আকরাম ভাই যে বোর্ডে কখন আসতেছেন… সব সময় যে আসেন তাও কিন্তু না। আমিতো মাঠের লোক মাঠে থাকি, বোর্ডে যাই। সবার সাথে দেখা হয় কথা হয়। আকরাম ভাই হয়তো ব্যস্ত থাকে, উনার ব্যবসা আছে। উনার অনেক ব্যস্ততা থাকে তারপরেও অনেক চেষ্টা করেন সবাই দেন। কিন্তু হয়তো খেলোয়াড়দের সাথে ওই সময় উনার দেখা হয়না। আমার সাথে যেভাবে ফ্রিলি কথা বলতে পারে সেটা হয়তো আকরাম ভাইয়ের সাথে পারেনা, ঐ সম্পর্কটা গড়ে ওঠেনা। যেকোনো টপিক নিয়ে আমাকে বলতে পারে, ঐ সময় আকরাম ভাইকে তো তারা পায়না। তো এটাই হয়তো কারণ হতে পারে। আমার মনে হয় আকরাম ভাই যথেষ্ট সময়ই দেয় এরপরেও। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে কিভাবে উন্নতি করবেন চেষ্টা করেন। আকরাম ভাইয়ের সাথে আমার…শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর এখনো দেখাই হয়নি সত্যি কথা বলতে। আমিও বোর্ডে যাইনি, আবাহনীর সাথে ছিলাম খেলা ছিল। বোর্ডে গেলেতো দেখা হয়ই।
Discussion about this post