শেষ ম্যাচে সমীকরণ ছিল এমন-যারা জিতবে তারাই পাবে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের শিরোপা। এমন ফাইনালের আবহে আবাহনী লিমিটেডের বাজিমাত। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। টানা তিনবার লিগ চ্যাম্পিয়ন।
শনিবার মিরপুরের শেরেবাংলায় লিগের শেষ ম্যাচটি হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। যেখানে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তুলে মোসাদ্দেক হোসেনের দল। এরপর নেমে ১৪২ রানে আটকে যায় এনামুল হক বিজয়ের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এটি আবাহনীর এটি হ্যাটট্রিক শিরোপা। গত পাঁচ বছরের মধ্যে চতুর্থ। সব মিলিয়ে ২১তম শিরোপা।
লিগের শেষ ম্যাচে আবাহনীর জয়ের নায়ক মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ২১ রানের পর এই পেসার ৩৬ রানে নেন ৪ উইকেট।
এবারের লিগ নানা কারণে আলোচিত হয়েছে। বিশেষ করে আম্পায়ারিং প্রসঙ্গ তো ছিলই। সঙ্গে বৃষ্টির দিনে খেলা বিঘ্নিত হয়েছে নিয়মিত। এখানে এই মৌসুমে চার ম্যাচ হেরেছে আবাহনী। এর মধ্যে একটি ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। ওই ম্যাচেই বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণে মেজাজ হারিয়ে আলোচনা আসেন সাকিব আল হাসান। তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানা পান মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বলা হচ্ছে আম্পায়ারিংয়ের বদন্যতা পেয়েছে আবাহনী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আবাহনী: ২০ ওভারে ১৫০/৭ (মোহাম্মদ নাঈম ০, মুনিম ৩, লিটন ১৯, শান্ত ৪৫, মোসাদ্দেক ৪০, আফিফ ১২, সাইফ উদ্দিন ২১*, শহিদুল ১*; মুস্তাফিজ ৪-০-৩৭-১, রুবেল ৪-০-২২-২, নাহিদুল ৪-০-২০-২, শরিফুল ৪-০-২২-১, নাঈম ২-০-২৫-০, রুবেল মিয়া ২-০-২৫-১)।
প্রাইম ব্যাংক: ২০ ওভারে ১৪২/৯ (রনি ১, রুবেল মিয়া ৪১, এনামুল ১৩, রকিবুল ৪, মিঠুন ৬, নাহিদুল ১০, নাঈম ১৯, অলক ৩৪*, রুবেল ০, শরিফুল ৩, মুস্তাফিজ ০*; সাইফ উদ্দিন ৪-০-৩৬-৪, আরাফাত সানি ৪-০-১৮-১, তানজিম ৪-০-৩১-১, মেহেদি রানা ৩-০-৩০-২, শহিদুল ৪-০-২১-০, মোসাদ্দেক ১-০-৫-০)।
ফল: আবাহনী লিমিটেড ৮ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
Discussion about this post