টিকে থাকার লড়াইয়ে ভয় ছিল বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে। কারণ বেশ কয়েক বছর ধরেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বঞ্চিত দলটির নাম লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বারবারই বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছে দলটি। এবার অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে লিগে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের খেলতে হয় রেলিগেশন লিগে। স্বস্তি এটাই মঙ্গলবার এই শঙ্কা উড়িয়েছে লিজেন্ডসরা। সব বাঁধা পেরিয়েছে তারা।
মিরপুরের শেরেবাংলায় ওল্ড ডিওএইচএসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকল রূপগঞ্জ। রেলিগেশন এড়াতে ওল্ড ডিওএইচএসকে হারাতেই হতো। হারলে দল নেমে যেতো প্রথম বিভাগে।
যেখানে মঙ্গলবার টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন রূপগঞ্জ অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। ব্যাটিং করতে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলে ওল্ড ডিওএইচএস। জবাবে নেমে ১৭.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে রূপগঞ্জ তুলে ১২৪ রান। ৫ বল হাতে রেখেই জয়! বৃষ্টি আইনে সহজেই ৬ উইকেটে জিতে দল টিকে গেলো প্রিমিয়ার লিগে।
ম্যাচে রূপগঞ্জের জয়ের নায়ক নাঈম ইসলাম। অধিনায়ক ১৪ বলে ২৭ রান করে ছিলেন অপরাজিত। ইনিংসে চার ৪টি ও ১টি ছয়। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরে জিতিয়ে তারপরই মাঠ ছাড়েন। এর আগে বল হাতে নেন ২ উইকেট। এমন ব্যাটে-বলে দাপটে ম্যাচ সেরা তিনিই।
টিকে থাকার লড়াইয়ে রূপগঞ্জকে ব্যাট হাতে পথ দেখান সাব্বির রহমান ও মেহেদী মারুফ। জয় থেকে যখন ২২ রান দূরে তখন মোহাম্মদ রশিদের ১৪তম ওভারে পর পর দুই বলে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন তারা্ ২২ বলে ৩০ রান করেন মারুফ। ৩১ বলে ৩০ রান করে আউট সাব্বির।
তারপর নাঈমের ব্যাটে জয় ধরা দেয়। এই ম্যাচটির জন্য সিসিডিএম বরাবর চিঠি দিয়ে মিরপুরে খেলা আয়োজন ও আইসিসি প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার চায় রূপগঞ্জ। তাদের চাওয়া মতোই হলো সবকিছু। আর ম্যাচেও থাকল নিরপেক্ষ আম্পায়রিং। সে আবেদনে সাড়া দিয়ে দাবি মেনে নেয় সিসিডিএম। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করা দেশের দুই আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল ও শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত দায়িত্ব পালন করেন।
তার পথ ধরে হেরে হেরে অবনমন হলো ডিওএইচএসের। আগেই বিদায় হয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের।
মঙ্গলবার মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বারবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলে ওল্ড ডিওএইচএস। বৃষ্টি আইনে টার্গেট দাঁড়ায় ১২২। ৫ বল হাতে রেখেই এই রান টপকে যায়ং সাবেক চ্যাম্পিয়ন রূপগঞ্জ। ম্যাচে ডিওএইচএসের ওপেনার আনিসুল ইসলাম ৫৯ বলে করেন ৫১ রান। মাহমুদুল হাসান জয় ৩১ বলে ২০। আলিস আল ইসলাম ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত।
রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ হোসাইন আলী। নাঈম ইসলাম নেন ২ উইকেট। ম্যাচেরসেরা তিনিই!
Discussion about this post