প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত। এরপর টানা তিন হারে দল ছিল চাপে। ঠিক এমন সময়ে বল হাতে চমক দেখালেন নাবিল সামাদ। অভিজ্ঞ বাঁহাতি এই স্পিনার দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেখালেন পথ। অন্যরাও সঙ্গ দিলেন বেশ। তার পথ ধরে ছোট পুঁজি নিয়েও শাইনপুকুরকে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
মঙ্গলবার ঢাকা টি-টুয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগে বৃষ্টিতে ১২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১৪ রানে জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ। টস হেরে ব্যাট করতে নামা লিজেন্ডসরা করে ৬ উইকেটে ৮১। এরপরই নাবিল, মুক্তার আলী, সানজামুল ইসলামদের বোলিংয়ে শাইনপুকুর ডুবল ৬৭ রানে।
২-১-১-৩! বিস্ময়কর বোলিং ফিগার নাবিলের। ২ ওভারে ১ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ম্যাচসেরা তিনি ছাড়া আবার কে?
শাইনপুকুর প্রথম ৪ ওভারে ৫ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারায়। বলা যায় তখনই ম্যাচে এগিয়ে যায় রূপগঞ্জ। সাবেক চ্যাম্পিয়নরা বুঝিয়ে দেয় ম্যাচটি জিততে যাচ্ছে তারা। শূন্য রানে তানজিদ হাসানকে আউট করেন নাবিল। পরের ওভারে চার বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরান রবিউল ইসলাম ও তৌহিদ হৃদয়কে।
এরপর চতুর্থ ওভারে সাব্বির হোসেনকে এলবিডব্লিউ করেন সানজামুল। তারমধ্যে সুমন খান ও রবিউল হককে নিয়ে ব্যবধান কমালেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তিনি করেন ২৩ বলে ৩০ রান।
তবে জিতলেও রূপগঞ্জের ব্যাটসম্যানরা ছন্দে ফিরতে পারেন নি। দলকে টানতে পারছেন না অভিজ্ঞ সাব্বির রহমান। এবার এক ছক্কায় ২০ বলে ফিরেন ১৬ রানে। আগের তিন ম্যাচে করেন ২৩, ২৩ ও ১৮ রান। ১৭ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৪ রান সানজামুলের। ১৩ বলে ১৮ রানে অপরাজিত অধিনায়ক নাঈম ইসলাম।
স্বস্তি এটাই সাফল্য পেলেন বোলাররা। তারপথ ধরে এবারের লিগে প্রথম জয়ের দেখা পেলো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ১২ ওভারে ৮১/৬ (আজমির ৫, মারুফ ১, সাব্বির ১৬, জাকের ০, সানজামুল ২৪, সোহাগ ১৩, নাঈম ১৮*, মুক্তার ০*; মোহর ২-০-১৮-০, সুমন ৩-০-২০-৩, তানভির ৩-০-১৩-১, রবিউল ২-০-৯-২, মুরাদ ১-০-৭-০, ইফতেখার ১-০-১২-০)
শাইনপুকুর: ১২ ওভারে ৬৭/৬ (সাব্বির ৪, তানজিদ ০, রবি ১, হৃদয় ০, মাহিদুল ৩০, সুমন ১২, রবিউল ১৫*, মোহর ১*; নাবিল ২-১-১-৩, সানজামুল ২-০-১০-১, শহীদ ৩-০-২২-০, মুক্তার ৩-০-১৪-২, অনিক ২-০-১৯-০)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ১৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: নাবিল সামাদ
Discussion about this post