শিরোনাম দেখে চমকে উঠবেন না! ঠিক তাই ঘটল সাভারের বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে। যেখানে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব। কিন্তু আত্মঘাতি ব্যাটিংয়ে হেরে ফিরল দলটি। বলা ভাল হারতেই যেন নেমেছিল তারা! সোমবার ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচে জিততে শেষ ওভারে তাদের চাই ৬ রান। এমন অবস্থায় সুজন হালদারের বলে রাইয়ান রহমান ও প্রীতম কুমার নেন মাত্র ৩ রান।
বিস্ময়কর ব্যাপার হলো শেষ বলে শট না খেলে ছেড়েই দেন ব্যাটসম্যান প্রিতম কুমার। সুজন হাওলাদারের ডেলিভারি অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাট চালালেন না। হাতের ইশারায় প্রিতম চাইলেন ওয়াইড! সেটা আর হলো না। যদিও আগেই জিততে পারতো দলটি। শেষ দুই ওভারে ওল্ড ডিওএইচএস জিততে দরকার ছিল মাত্র ১৩ রান। হাতে উইকেট ৯টি। তখন কীনা হেরে গেল ওল্ড ডিওএইচএস!
সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টির ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন জিতল ২ রানে। বিকেএসপিতে ২০ ওভারে ব্রাদার্স ৫ উইকেটে করে ১৩৯ রান। জবাবে ওল্ড ডিওএইচএস ১৮ ওভার পর্যন্ত মাত্র এক উইকেট থাকলে শেষ অব্দি আটকে যায় ১৩৭ রানে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচেও ওল্ড ডিওএইচএস এমন আত্মঘাতি ব্যাটিং করেছে। ১৯ ওভারের ম্যাচে ১৩৬ রান জবাবে পুরো ওভার খেলে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে করে ১১৩ রান। এমন ব্যাটিংয়ের উত্তর পাওয়া যায়নি।
জবাবে নেমে আনিসুল ইসলাম ইমন ও রাকিন আহমেদ উদ্বোধনী জুটিতে করেন ৫৭ রান। রাকিন বিদায় নেন ৩১ বলে ৩৩ করে।
দ্বিতীয় উইকেটে আনিসুল ও মাহমুদুল হাসান জয় এগিয়ে দেন দলকে। এক পর্যায়ে ৯ উইকেট নিয়ে ৯ বলে দরকার ছিল ৮ রান। কিন্তু সেটাও তারা করতে পারেনি।
এর আগে ব্রাদার্সের হয়ে চারটি করে চার-ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৮ করেন মাইশুকুর। আনিসুল আউট হয়ে যান ৫০ বলে ৬৪ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ব্রাদার্স: ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (মিজানুর ২১, জুনায়েদ ৬, জাহিদুজ্জামান ৩, মাইশুকুর ৬৮*, নুরুজ্জামান ৪, রাহাতুল ২৬, আলাউদ্দিন ৮*; রশিদ ২-০-৩১-০, রকিবুল ৪-০-৩৪-০, মোহামামদ শান্ত ৩-০-২০-১, মোহাইমিনুল ৩-০-১১-১, পায়েল ৪-০-২০-০, আলিস ৪-০-২৩-২)।
ওল্ড ডিওএইচএস: ২০ ওভারে ১৩৭/৩ (আনিসুল ৬৪, রাকিন ৩৩, মাহমুদুল ৩৪, রায়ান ৩*, প্রিতম ১*; সাকলাইন ৪-০-২৯-০, নাঈম জুনিয়র ৪-০-২৫-০, রাহাতুল ৪-০-১৫-১, আলাউদ্দিন ২-০-২৪-০, সুজন ৪-০-৩০-০, মানিক ২-০-১৪-১)।
ফল: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মাইশুকুর রহমান।
Discussion about this post